নারায়ণগঞ্জে স্ত্রী ও শাশুড়ি হত্যায় জামাতার মৃত্যুদণ্ড


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুরে স্ত্রী ও শাশুড়িকে গলা কেটে হত্যা মামলায় কাউসার ফকিরকে (৩৩) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক হুমায়রা তাসমিন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কাউসার বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকার সারোয়ার ফকিরের ছেলে। ঘটনার সময় তিনি কাঁচপুর এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ও কাঁচপুর বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় একটি কারখানার কর্মচারী ছিলেন।
মামলার বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জাকির বলেন, ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাউসার ও তাঁর স্ত্রী শারমিন আক্তার লাভলীর (২০) ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসেন তাঁর শাশুড়ি রাশিদা বেগম (৫৫) ও শ্যালক ইমদাদুল হক(১৭)। ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে ইমদাদুল হক বাসা থেকে বেরিয়ে অন্যত্র বেড়াতে যায়। এ সময় কাউসার ও লাভলীর মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়।
ঝগড়ার একপর্যায়ে রাশিদা বেগম মেয়ের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ করলে কাউসার ঘরের দরজা–জানালা বন্ধ করে লাভলীকে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। মেয়েকে কোপাতে দেখে রাশিদা বেগম প্রতিরোধের চেষ্টা করলে কাউসার তাঁকেও কোপানো শুরু করেন। দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই দুজন মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় ইমদাদুল হক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় মামলা করেন। বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।