চালের দাম বৃদ্ধি, বিপাকে ক্রেতারা


চালের বাজারে অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও চালের দাম ক্রমশ বেড়ে চলছে। মাসখানেক আগে নতুন আমন ধান উঠলেও এবং চাল আমদানির পরেও মিনিকেট ও নাজিরশাইলসহ সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন বিপাকে।
সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া এবং ফার্মগেটসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মিনিকেট চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮-৮০ টাকায়, যা দুই সপ্তাহ আগেও ছিল ৬৮-৭৫ টাকা। নাজিরশাইল চালের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০-৮৬ টাকায়, যা আগে ছিল ৭০-৭৮ টাকা। একইভাবে, বিআর-২৮ চালের কেজি এখন ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যেখানে আগে ছিল ৫৮-৬০ টাকা। মোটা চাল (গুটি স্বর্ণা) দুই সপ্তাহে কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৫৬ টাকায়।
চালের পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, মিলাররা ধানের দাম বাড়ানোর অজুহাতে চালের দর বাড়াচ্ছেন। তবে বাজারে চালের সরবরাহ যথেষ্ট রয়েছে।
সবজি বাজারেও মিশ্র চিত্র দেখা গেছে। শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমলেও তা চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের তেমন স্বস্তি দেয়নি। মুলা, শালগম, শিম, গাজর, চিচিঙ্গা, উচ্ছে এবং বেগুনের দাম ১৫-৫০ টাকার মধ্যে থাকলেও টমেটো, বরবটি ও অন্যান্য সবজির দাম কিছুটা বেশি।
ডিমের দাম কমে ডজনপ্রতি ১৩০-১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১৯০-২০০ টাকা এবং সোনালি মুরগি ৩৩০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের মতোই চড়া।
মাছের বাজারেও উচ্চমূল্য অব্যাহত রয়েছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ২৪০০ টাকায় এবং ছোট আকৃতির ইলিশ ৮০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রুই, কাতল, পাবদা, তেলাপিয়া এবং চিংড়িসহ অন্যান্য মাছের দামও বেশ চড়া।
গরুর মাংসের দাম প্রতি কেজি ৬৫০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১০৫০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জন্য চাপ তৈরি করেছে। ক্রেতারা চাল, মাছ, মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।