ভোটের মাঠে পুলিশ-আর্মি যথেষ্ঠ নয়, স্কুলছাত্রদেরও চান এবি পার্টির চেয়ারম্যান


আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খোলা মাঠে ভোট গ্রহণ চায় আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। একই সঙ্গে নির্বাচনী দায়িত্বে ভোটার নয় এমন স্কুল ছাত্রদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাকিদের এ কথা বলেন দলটি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। বৈঠকে ৯ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরে এবি পার্টি।
এর আগে, নির্বাচন কমিশনার বেগম তাহমিদা আহমদ খোলা মাঠে ভোটগ্রহণ করার কথা বলেছিলেন।
বৈঠক শেষে মজিবুর রহমান মঞ্জু সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বলেছি, ভোটকেন্দ্র মাঠে না করে উন্মুক্ত স্থানে করা যায় কি না। খোলামেলা থাকলে ভোট চুরি হবে না। খোলা মাঠে হলে সাংবাদিকসহ অন্যদের মনিটরিং সহজ হবে। আর আমরা মনে করছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যা আছে— পুলিশ-আনসারসহ অন্যরা তা মোকাবেলা নাও করতে পারেন। এ জন্য প্রস্তাব করেছি, স্কুলছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত করার। পুলিশ-আর্মির পাশাপাশি যারা ভোটার না, যারা গণঅভ্যুত্থানেও ভূমিকা রেখেছেন, ছাত্রীসহ তাদের কথা বলেছি। সিইসি শুনে প্রসংশা করেছেন। তিনি বলেছেন, খুবই ভালো আইডিয়া।’
ভোটের দায়িত্বে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে মঞ্জু বলেন, ‘পুলিশের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের পরেও আমরা দেখেছি কিশোরদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। আমরা বলেছি, পাইলট করে এক্সিকিউট করতে। আমরা বলব না যে, থ্রেট এনালাইসিস না করে এটা করেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে মঞ্জু বলেন, ‘শুধু ভোট করার জন্য নয় ভোটারকে কেন্দ্রে আনাও ইসির দায়িত্ব। তাই ইসির কাছে তাদের আনতে প্রস্তাব করছি।’
নির্বাচনি ব্যয় কমানোর বিষয়ে মঞ্জু বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থীর ২৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করা যায়। আমরা বলেছি কাটছাট করার জন্য। কিন্তু ইসি তা করছে না। পোস্টার নিষিদ্ধ করে ইসি নিজেই সব প্রার্থীর জন্য পোস্টার ছাপাতে পারে কি না। যত্রতত্র পোস্টার না রাখলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না, ব্যয়ও কমবে। এ ছাড়া ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে আনা, পোলিং এজেন্টদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রার্থীরা ব্যয় করেন। এগুলোর ব্যবস্থা যদি ইসি করে, প্রার্থীর খরচ কমে যাবে। তখন আর মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’
এ ছাড়াও বৈঠকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি, ব্যারিস্টার সানী আব্দুল হক, যুবপার্টির সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর উত্তরের আহবায়ক সেলিম খান, সদস্যসচিব সামিউল ইসলাম সবুজ, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) শাহজাহান ব্যাপারী, কেন্দ্রীয় নেতা আবু রাইয়ান রছি, যুবপার্টি ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব শাহিনুর আক্তার শীলা, দক্ষিণের সদস্য সচিব মাসুদুর রহমান, নারী নেত্রী ইসরাত জাহান, সহকারী প্রচার সম্পাদক রিপন মাহমুদ, সহকারী অর্থ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ।
ক্রাইম জোন ২৪