শিরোনাম
পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় বাড়ছে অপরাধরপ্তানিতে আরও মজবুত অবস্থান বাংলাদেশেরবিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের ‘আপত্তিকর ভিডিও’ তদন্তে চার সদস্যের কমিটিখালাসের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে আপিল বিভাগেবিদেশ–বিভুঁইয়ে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের দিন কাটছে যেভাবেলাজ ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী পেলেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকাভোটের মাঠে পুলিশ-আর্মি যথেষ্ঠ নয়, স্কুলছাত্রদেরও চান এবি পার্টির চেয়ারম্যানস্থগিত হওয়া মনোনয়নপত্র বিতরণ রোববার থেকে শুরুএকই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ৬বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি বরিশাল জেলা শাখা কমিটির পরিচিতি সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান

খালাসের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে আপিল বিভাগে

খালাসের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে আপিল বিভাগে

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ২১ বছর আজ বৃহস্পতিবার। বিচারিক আদালতে সাজার পর হাইকোর্টে খালাস পান সব আসামি। এরপর আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এখন চলছে সেই আপিল শুনানি। আপিল নিষ্পত্তির রিভিউ আবেদনের সুযোগ পাবেন সংক্ষুব্ধরা। আপিল বিভাগে প্রশ্ন উঠেছে সাক্ষ্যগ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ে।

আপিল বিভাগে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, একজনের স্বীকারোক্তি দিয়ে অন্যজনকে সাজা দেওয়া যাবে না। আর এখানে কোনো স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় নয়, নির্যাতন করে নেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। মূল অপরাধীদের বের করা হয়নি, ভুল আসামিদের সাজা দেওয়া হয়েছে। এটি রাষ্ট্রের ব্যর্থতা।

গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে চতুর্থ দিনের মতো শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ। লুৎফুজ্জামান বাবরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অন্য আসামিদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। বৃহস্পতিবার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ ডিসেম্বর সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন। রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। পরে ১ জুন লিভ টু আপিল মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। এখন আপিল শুনানি চলছে। এরপর রিভিউ করার বিধান রয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দলটির ২৪ নেতা-কর্মী নিহত হন। ওই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৮ সালে বিচারিক আদালত দুটি মামলারই রায় দেন।

রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর মামলার সব নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। অন্যদিকে কারাগারে থাকা দণ্ডিত ব্যক্তিরা পৃথক জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button