আগামী সপ্তাহেই ট্রাম্প-পুতিনের দেখা হবে আমিরাতে, জেলেনস্কি অনিশ্চিত


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শিগগিরই এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ থামাতে আলোচনার অংশ হিসেবে এই বৈঠকের আয়োজন করা হচ্ছে।
ট্রাম্প সম্প্রতি জানান, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একসঙ্গে সাক্ষাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটি খুব শিগগিরই হতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিও এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে পুতিন জানিয়ে দিয়েছেন, জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক এখনো অনেক দূরের বিষয়, কারণ উপযুক্ত শর্ত এখনো তৈরি হয়নি।
বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ট্রাম্প ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়াকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। তা না হলে তিনি রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন। এর আগে, গত বুধবার মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ পুতিনের সঙ্গে মস্কোতে আলোচনা করেন। উইটকফ এর আগে চারবার মস্কো সফর করেছেন, তবে কোনো আলোচনাই গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি আনেনি।
আজ বৃহস্পতিবার পুতিন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্ভাব্য বৈঠকটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে পারে এবং তা আগামী সপ্তাহেই হতে পারে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি না হলে জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ সম্ভব নয়।
এর আগে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তিনি কেবল চূড়ান্ত পর্যায়ের আলোচনায় মিলিত হতে রাজি। তবে কিয়েভ এবং পশ্চিমা শক্তিগুলো রাশিয়ার শান্তি চুক্তির শর্তগুলো প্রত্যাখ্যান করেছে। রাশিয়ার দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা, ন্যাটোতে যোগ না দেওয়া, সেনা কমিয়ে আনা এবং দখলকৃত অঞ্চলগুলো—দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন, জাপোরিঝঝিয়া ও ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
জেলেনস্কি এক্সে লিখেছেন, ‘ইউক্রেন আলোচনায় ভয় পায় না এবং একই সাহসী পদক্ষেপ রাশিয়ার দিক থেকেও প্রত্যাশা করে।’ তিনি জানান, দুটি দ্বিপক্ষীয় এবং একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে এবং ইউরোপকেও এতে অংশগ্রহণ করতে হবে।
রাশিয়া এখনো ইউক্রেনে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের কথামতো শুক্রবারের সময়সীমার মধ্যে শান্তি আসার আশা কম। এদিকে, গত মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও ২০০ মিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ড্রোন তৈরির সহায়তাও রয়েছে।