স্পেনের বিরল রেকর্ড নাকি ইংল্যান্ডের প্রতিশোধ


স্পেনের বিরল রেকর্ড নাকি ইংল্যান্ডের প্রতিশোধ
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৫, ১১: ৪৪
নারী ইউরোর ফাইনালে আজ মুখোমুখি হবে স্পেন-ইংল্যান্ড। ছবি: এএফপি
মেয়েদের ফিফা বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন স্পেন। আজ ২০২৫ মেয়েদের ইউরোর ফাইনালও জিতলে বিশ্বের দ্বিতীয় দল হিসেবে টানা বিশ্বকাপ ও ইউরোর শিরোপা জিতবে তারা। মেয়েদের ফুটবলে বিরল এই কীর্তি আছে কেবল জার্মান মেয়েদেরই। ২০০৭ ও ২০০৯ সালে টানা এই দুটি শিরোপা জিতেছিল তারা। আজ মেয়েদের ইউরোর ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে জার্মানদের পাশে বসতে চান আইতানা বোনমাতিরা। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ১০টায় এই ফাইনাল হবে সুইজারল্যান্ডের বাসেলে।
স্পেনের লক্ষ্য জার্মানির রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলা, তো ইংল্যান্ডের লক্ষ্য কী? দুই লক্ষ্য টুর্নামেন্টের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের—নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখা ও প্রতিশোধ। প্রতিশোধ কেন? ২০২৩ সালের মেয়েদের ফিফা বিশ্বকাপে এই স্পেনের কাছে হেরেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল তাদের। আজকের ম্যাচ জিতে টানা বিশ্বকাপ ও ইউরো জয়ের যে স্বপ্ন দেখছে স্পেনের মেয়েরা, দুই বছর আগে বিশ্বকাপ জিতলে সেই কৃতিত্ব হতো ইংলিশ মেয়েদেরই। সেই ফাইনালের হারের প্রতিশোধ এবার স্পেনকে হারিয়ে নিতে চায় তারা। এই চাওয়ার কথা জানিয়েছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার এলা টুন, ‘স্পেন শক্তিধর প্রতিপক্ষ। তাদের শ্রদ্ধা করি আমরা। তবে নিজেদের নিয়েও বিশ্বাস আছে আমাদের। এগিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা আছে আমাদের।’
এই টুনের গোলেই তিন বছর আগে ইউরোর ফাইনালে জার্মানদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। আজকের ফাইনালটি ধরে নারী ফুটবলের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ফাইনাল খেলছে ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ড দলের এমন ধারাবাহিকতার পেছনে রয়েছে কোচ সারিনা উইগম্যানের অবদান। কোচ নিয়ে টুন বলেন, ‘কোচ হিসেবে উনি দুর্দান্ত। আমরা সবাই ওনার ওপর ভরসা করি। ওনার অর্জনও ঈর্ষণীয়।’ সেই অর্জনে তিনি আজকের ফাইনালটিকে যোগ করতে চাইবেন এটাই তো স্বাভাবিক।
তবে ফাইনালে ইংল্যান্ডের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন টানা দুবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী আইতানা বোনমাতি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভাইরাল ভাইরাল মেনিনজাইটিস নিয়ে হাসপাতালে থাকতে হলেও টুর্নামেন্টের নকআউট পর্বে তাঁকে নিয়েই এগিয়েছে স্পেন। তাঁর গোলেই জার্মানির বিপক্ষে সেমিফাইনালে জিতেছে স্পেন। তবে স্পেনের কোচ মন্তসে তোমে মনে করেন, তাঁরা একটা দল। কঠোর পরিশ্রম করে মাঠে খেলে তাঁর দল, সেই পরিশ্রমেরই ফল—বিশ্বকাপ জয়ের পর ইউরোর ফাইনালেও স্পেনের উঠে আসা।