কম্বোডিয়ার সামরিক স্থাপনায় থাইল্যান্ডের বিমান হামলা, সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কা


কম্বোডিয়ার সামরিক স্থাপনায় থাইল্যান্ডের বিমান হামলা, সংঘাত বৃদ্ধির আশঙ্কা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৫, ১২: ৩৩
কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড সীমান্তে গুলি বিনিময়ের পর সীমান্ত থেকে ফেরত যায় আসে কম্বোডিয়ার একটি বিএম-২১ মাল্টিপল রকেট লাঞ্চার। ছবি: এএফপি
প্রতিবেশী কম্বোডিয়ার সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। সীমান্ত থেকে উসকে ওঠা এই সংঘাত যেকোনো সময় যুদ্ধে রূপ নিতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে থাইল্যান্ডের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কম্বোডিয়ার ওই সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায়। খবর সিএনএনের।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া বোমা কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডে পড়েছে। নমপেন এই ঘটনার ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এক বিবৃতিতে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের ‘এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দুটি বোমা ফেলেছে ওয়াট কিয়াও সেখা কিরি সভ্রাক প্যাগোডাতে যাওয়ার রাস্তায়।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই এলাকাটি কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বিতর্কিত সীমান্তের অংশ হলেও ‘সব এলাকা সম্পূর্ণরূপে কম্বোডিয়ার ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত।’
থাইল্যান্ড জানিয়েছে, তারা ছয়টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছিল এবং পরে দাবি করে, তারা কম্বোডিয়ার দুটি আঞ্চলিক সামরিক সদর দপ্তর ‘ধ্বংস’ করেছে। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কম্বোডিয়া তাদের বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের কর্মকাণ্ডকে ‘নৃশংস, বর্বর ও সহিংস সামরিক আগ্রাসন’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, থাইল্যান্ডের এই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন এবং এটি ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চরম হুমকি তৈরি করেছে, সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক নীতিনির্ভর শৃঙ্খলার ভিত্তিও নষ্ট করছে।’
থাই সেনাবাহিনীর ভাষ্য অনুসারে, আজ বৃহস্পতিবার ভোরে কম্বোডিয়ার সেনারা প্রাচীন তা মুয়েন থম মন্দিরসংলগ্ন একটি থাই সেনাঘাঁটিতে গুলি চালায়। এই মন্দির থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের দক্ষিণে এবং কম্বোডিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত বিরোধপূর্ণ এলাকায়।
থাইল্যান্ডের দাবি, কম্বোডিয়া প্রথমে মন্দিরের সামনে একটি ড্রোন পাঠায় এবং পরে সশস্ত্র সেনা পাঠিয়ে হামলা চালায়। তারা আরও অভিযোগ করেছে, কম্বোডিয়ার সেনারা সুরিন প্রদেশের কাপ চুয়েং জেলার একটি বেসামরিক এলাকায় ভারী অস্ত্র থেকে গুলি ছোড়ে।
এদিকে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল মালি সোচেতা বলেছেন, থাইল্যান্ডের বিনা উসকানির হামলার জবাবে তারা আত্মরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘থাই সেনারা আমাদের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করার পর আমাদের বাহিনী আত্মরক্ষার সীমার মধ্যেই থেকে জবাব দিয়েছে।’