শিরোনাম
অবরোধকারীদের ‘ভুয়া’ আখ্যা দিয়ে ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধাদের’ হামলা, পুলিশের লাঠিপেটায় শাহবাগ ফাঁকামাছরাঙা টিভিতে শুরু হচ্ছে নতুন দুই অনুষ্ঠানযুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কহার ১৫ শতাংশ কমানো সন্তোষজনক: আমীর খসরুঅস্ট্রেলিয়ায় তাহলে যাচ্ছেন হাসান মাহমুদকেশবপুরে পানির ঢলে প্লাবিত তালার নিম্নাঞ্চল, দুর্ভোগে পাঁচ হাজার মানুষভারত-মার্কিন সম্পর্ক বেশ কিছু পরিবর্তন ও চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করছে: নয়াদিল্লিদুটি নাম ব্যবহার করতেন পলাতক জানে আলমকুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাফি গ্রেপ্তারমেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলারবন্ধক রাখা মোবাইল ফোন থেকে ফেসবুকে পোস্ট করে যুবক গ্রেপ্তার

এ যেন কল্পকাহিনী—৩০ বছর ধরে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল মার্কিন শিশু

এ যেন কল্পকাহিনী—৩০ বছর ধরে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল মার্কিন শিশু

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও অঙ্গরাজ্যের এক দম্পতির কোলজুড়ে এসেছে একটি পুত্রসন্তান। আশ্চর্যের বিষয় হলো—সদ্য জন্ম নেওয়া এই শিশুটির ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায় প্রায় ৩০ বছর ধরে সংরক্ষিত ছিল।

ধারণা করা হচ্ছে, এটাই সফলভাবে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হিমায়িত ভ্রূণ হিসেবে থাকার রেকর্ড। এর আগে ১৯৯২ সালে হিমায়িত হওয়া একটি ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুরাই ছিল এই রেকর্ডের ধারক।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিবিসি জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সী লিন্ডসে এবং ৩৪ বছর বয়সী টিম পিয়ার্স গত শনিবার তাঁদের সন্তান থ্যাডিউস ড্যানিয়েল পিয়ার্সকে জন্ম দিয়েছেন। এই বিষয়ে বিজ্ঞান সাময়িকী ‘এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ’-কে লিন্ডসে বলেছেন, ‘আমার পরিবার ভাবছে এটা যেন কোনো সায়েন্স ফিকশন সিনেমার ঘটনা!’

পিয়ার্স দম্পতি দীর্ঘ সাত বছর ধরে সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শেষে তাঁরা ১৯৯৪ সালে ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশনের (আইভিএফ) মাধ্যমে তৈরি হওয়া একটি ভ্রূণ দত্তক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ভ্রূণটি তৈরি করেছিলেন সেই সময়ের ৩১ বছর বয়সী লিন্ডা আর্চার্ড নামে এক নারী। বর্তমানে তাঁর বয়স ৬২ বছর।

লিন্ডা সেই সময় মোট চারটি ভ্রূণ তৈরি করেছিলেন—এর একটি থেকে জন্ম নেয় তাঁর বর্তমান ৩০ বছর বয়সী কন্যা, আর বাকি তিনটি ভ্রূণ হিমায়িত অবস্থায়ই সংরক্ষিত ছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, এক সময় লিন্ডা ও তাঁর স্বামীর বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। তারপরও তিনি ওই তিনটি ভ্রূণ নষ্ট করতে বা গবেষণার জন্য দান করতে কিংবা অজানা কোনো দম্পতিকে দিতে চাননি। কারণ এই ভ্রূণ থেকে জন্ম নেওয়া শিশুর সঙ্গে তাঁর কন্যার রক্তের সম্পর্ক থাকবে—এমনটিই ছিল তাঁর ভাবনা।

তবে ভ্রূণগুলো সংরক্ষণের জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার ডলার ব্যয় করেছেন লিন্ডা। শেষ পর্যন্ত ‘নাইটলাইট’ নামে একটি খ্রিষ্টান ভ্রূণ দত্তক সংস্থার সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। এই সংস্থাটি ‘স্নোফ্ল্যাকস’ নামে একটি বিশেষ কর্মসূচি পরিচালনা করে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে কেউ যদি ভ্রূণ দান করতে চান তবে তাঁরা তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী গ্রহীতা পরিবার নির্বাচন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দাতা দম্পতি গ্রহীতা পরিবারের ধর্ম, জাতি এবং জাতীয়তার মতো বিষয়গুলোতে নিজেদের পছন্দ জানাতে পারেন।

লিন্ডা আর্চার্ড চেয়েছিলেন একজন বিবাহিত, খ্রিষ্টান, ককেশীয় দম্পতি, যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রেই থাকেন। এভাবেই শেষ পর্যন্ত তিনি যুক্ত হন পিয়ার্স দম্পতির সঙ্গে। পরে টেনেসি রাজ্যের ‘রিজয়েস ফার্টিলিটি’ ক্লিনিকে এই ভ্রূণ স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়।

ভ্রূণ দত্তক নেওয়া লিন্ডসে পিয়ার্স বলেন, ‘আমরা কোনো রেকর্ড ভাঙতে চাইনি। আমরা শুধু একটি সন্তান চাইছিলাম।’

দাতা লিন্ডা আর্চার্ড এখনো তাঁর ‘ভ্রূণসন্তান’ থ্যাডিউসকে সরাসরি দেখেননি, তবে ধারণা করছেন, শিশুটির চেহারার সঙ্গে তাঁর মেয়ের অনেক মিল রয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button