এক-দুই সপ্তাহের মধ্যেই ইসরায়েল লক্ষ্য অর্জন করবে: আইডিএফ


ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা আগামী এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যেই ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সক্ষমতা ধ্বংসে তাদের সবকটি প্রধান লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে বলে আশাবাদী। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন আইডিএফ কর্মকর্তারা।
অপারেশনের লক্ষ্য হিসেবে ইসরায়েল শুরু থেকেই ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির প্রচেষ্টাকে ‘অস্তিত্বের হুমকি’ হিসেবে চিহ্নিত করে তা নির্মূল করার অঙ্গীকার করেছে।
এখন পর্যন্ত আইডিএফ দুটি প্রধান পারমাণবিক সমৃদ্ধিকরণ কেন্দ্র নাতাঞ্জ ও ইসফাহানে বোমাবর্ষণ করে বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করেছে। পাশাপাশি ইসরায়েলের দাবি, ইরানের অন্তত নয়জন শীর্ষ পারমাণবিক বিজ্ঞানী যাঁরা পরমাণু বোমা প্রকল্পে সরাসরি জড়িত ছিলেন, তাঁদের হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কার্যালয় ও কমান্ড সেন্টারেও হামলা চালানো হয়েছে।
তবে আইডিএফ জানিয়েছে, তেহরানের কাছে অবস্থিত ভূগর্ভস্থ ফরদো পারমাণবিক স্থাপনাটি এখনো লক্ষ্যবস্তু হয়নি, তবে তা তাদের ‘টার্গেট ব্যাংক’-এ রয়েছে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, ফরদো অবশ্যই মোকাবিলা করা হবে।
এ ছাড়া, আইডিএফ-এর হিসাবে, ইরানের মোট ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র লাঞ্চারের প্রায় ৪০ শতাংশ আনুমানিক ২০০টি এর মধ্যে ধ্বংস বা অকার্যকর করা হয়েছে। এর ফলে গত দুই দিনে ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অনেকটাই কমে গেছে।
আইডিএফ দাবি করেছে, তারা ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) এবং ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডের প্রায় সবাইকে হত্যা করেছে। সামরিক কর্মকর্তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, তারা প্রাথমিক পরিকল্পনার তুলনায় তিন গুণ বেশি ইরানি কমান্ডারকে হত্যা করতে পেরেছে।
আইডিএফ আরও জানায়, পুরো অভিযানের প্রস্তুতি মাসখানেক আগেই শুরু হয়েছিল, যেখানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ইরানের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করা। বর্তমানে পশ্চিম ইরান ও তেহরান অঞ্চলে আকাশে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছে আইডিএফ।