ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছুঁইছুঁই


ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিধ্বস্ত ছিটমহল গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের চলমান হামলায় প্রায় ৬২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে অন্তত ৬১ হাজার ৮২৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয়ের দৈনিক আপডেটে বলা হয়েছে, গতকল সন্ধ্যার আগের ২৪ ঘণ্টায় ৫১ জন নিহত এবং ৩৬৯ জন আহত হয়েছেন। এ পর্যন্ত আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৭৫ জনে পৌঁছেছে।
ফিলিস্তিনে খাদ্য ও ওষুধের অভাবে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে মৃত্যুও বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক শিশু মেয়ে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে মারা গেছে। ক্ষুধাজনিত মোট মৃত্যুর সংখ্যা এখন ২৪০, যার মধ্যে ১০৭ জন শিশু।
অবিরাম ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং উদ্ধার সরঞ্জামের তীব্র অভাবের কারণে নাগরিক প্রতিরক্ষা দলগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে ফেঁসে থাকা বা সড়কে পড়ে থাকা দুর্গতদের উদ্ধার করতে কঠোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
১৮ মার্চ থেকে, যখন ইসরায়েল একটি যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি ভেঙে সামরিক হামলা পুনরায় শুরু করে, তখন থেকে ১০ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৪৩ হাজার ২৩৪ জন আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মানবিক সহায়তা নেওয়ার চেষ্টা করা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। শুধু গত একদিনে ১৭ জন নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছেন। ২৭ মে থেকে এই ধরনের হামলায় ১ হাজার ৮৯৮ জন নিহত এবং ১৪,ম হাজার ১১৩ জন আহত হয়েছে।
ইসরায়েলের অবরোধে গাজার ২৪ লাখ বাসিন্দা গভীর মানবিক সংকটে আছেন। খাদ্য, ওষুধ ও মৌলিক সেবার অভাবে তারা ক্ষুধা, রোগ এবং জীবনধারার চরম সংকটের মুখোমুখি।
গত নভেম্বর, আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
এছাড়া ইসরায়েলের গাজার ওপর যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে একটি গণহত্যার মামলাও চলছে।
তথ্যসূত্র: আনাদোলু
ক্রাইম জোন ২৪