‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ পরিকল্পনা: ভারতীয় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ


ক্রাইম জোন ২৪।। বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি দাবি করেছেন, ভারতের প্রত্যক্ষ মদতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য এই পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
হাসনাত আবদুল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী, ১১ মার্চ দুপুর ২:৩০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টে তার ও আরও দুই ব্যক্তির সামনে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। প্রস্তাব দেওয়া হয়, আসন সমঝোতার বিনিময়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করতে হবে।
তাকে জানানো হয় যে, ইতোমধ্যে কয়েকটি রাজনৈতিক দল শর্তসাপেক্ষে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনে সম্মত হয়েছে। উদ্দেশ্য হলো, একটি দুর্বল আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা, যাতে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকার পরিবর্তে একাধিক দুর্বল বিরোধী দল থাকে।
হাসনাত আবদুল্লাহর ভাষ্য অনুযায়ী, সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন চৌধুরী ও ব্যারিস্টার তাপসকে সামনে রেখে এই পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে। এপ্রিল-মে মাস থেকে তারা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মুখ খুলবেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক আওয়ামী লীগের পক্ষে থাকার প্রতিশ্রুতি দেবেন।
প্রস্তাবের বিরোধিতা করলে, তাদের হুমকি দিয়ে বলা হয়, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথে বাধা সৃষ্টি করলে দেশের সংকটের দায়ভার তাদের নিতে হবে। এমনকি বলা হয়, ‘আওয়ামী লীগ মাস্ট কাম ব্যাক’—অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে ফিরতেই হবে।
হাসনাত আবদুল্লাহ পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘যে দল এখনো ক্ষমা চায়নি, অপরাধ স্বীকার করেনি, তাদের কিভাবে ক্ষমা করে দেওয়া হয়?’ উত্তরে বলা হয়, ‘তোমরা কিছু জানো না, আমাদের ৪০ বছরের অভিজ্ঞতা আছে। আওয়ামী লীগ ছাড়া ‘ইনক্লুসিভ’ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
তিনি দাবি করেন, এর আগেও জুলাই আন্দোলনের সময় তাদের বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারা জনগণের শক্তির ওপর ভরসা রেখে হাসিনা সরকারকে পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছেন।
‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে আপসের সুযোগ নেই’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগের কামব্যাকের কোনো সুযোগ নেই। বরং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।’
হাসনাত আবদুল্লাহর এই বক্তব্যের পর রাজনীতিতে নতুন আলোচনা শুরু হয়েছে। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা গেলেও, ক্যান্টনমেন্টের এই বৈঠক ও ভারতীয় পরিকল্পনার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।