শিরোনাম
‘নুরাল পাগলার’ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জামায়াতের উদ্বেগ৩৬ দিনের সংগ্রামে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে, কিন্তু সব আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়িত হয়নি: উপদেষ্টা আদিলুরসাংহাই সম্মেলনে ঘনিষ্ঠতা দেখালেও, আসন্ন ব্রিকস সম্মেলনে থাকছেন না মোদিবাংলাদেশের আজ বাঁচা-মরার ম্যাচআমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক: জামায়াত নেতাইতালির গোলবন্যার রাতে এমবাপ্পের রেকর্ডসর্বাধিক দ্বীপ রয়েছে যে দেশগুলোতেস্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধেবগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে খুন, আহত ৪বাংলাদেশ-নেপাল ফুটবল ম্যাচ দেখবেন কোথায়

বরিশালে মাদক উদ্ধারের অভিযানে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা গায়েব

বরিশালে মাদক উদ্ধারের অভিযানে ১৫ হাজার পিস ইয়াবা গায়েব

বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ একটি অভিযানে ১৭ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা জব্দ করে হলেও, মাত্র ৩ হাজার ১৫০ পিস উদ্ধার দেখিয়ে ১৪ হাজার ৬৫০ পিস ইয়াবা গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযানে জড়িত পুলিশের সদস্যদের বিরুদ্ধে এমন দুর্নীতির ঘটনা ঘটে বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলার লাকুটিয়া সড়কে।

অভিযানটি পরিচালনা করেন নগর গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর ছগির হোসেন, সাব-ইন্সপেক্টর মেহেদী হাসান, রাকিব হোসেন, এএসআই মহসিন, কনস্টেবল আকিদুর, রুহুল এবং সোহেলসহ আরও কয়েকজন পুলিশ সদস্য। অভিযানে তিনজন মাদক ব্যবসায়ী আটক হলেও, একজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। অপর দুজনকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

আটক হওয়া ব্যক্তির নাম ফারদিন, যিনি বরিশাল নগরীর কালুশাহ সড়কের বাসিন্দা এবং সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী। ইয়াবার চালানটি ছিল বরিশাল নগরীর মোহাম্মদপুর এলাকার মাদক বিক্রেতা মান্না সুমন ও শিল্পির কাছ থেকে। লাকুটিয়া এলাকায় প্রথমে চারটি টিউব আকারে ইয়াবা আটক করা হয়। তবে ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে আরো একটি টিউব ইয়াবা উদ্ধার হওয়ার দাবি করা হয়।

এরপর, গোয়েন্দা সদস্যরা মাদক বিক্রেতাদের সাথে দেন-দরবারে বসেন এবং ১৭ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার হলেও, ৩ হাজার ১৫০ পিস উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেওয়া হয়। বাকি ১৪ হাজার ৬৫০ পিস ইয়াবা মান্না সুমন ও শিল্পিকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। তবে এ নিয়ে কনস্টেবল আকিদুর আপত্তি তোলেন, কারণ ইয়াবার মূল মূল্য প্রায় ৩০ লাখ টাকা, এবং মাত্র ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে মাদক বিক্রেতাদের ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।

এই ঘটনায়, পুলিশ কর্মকর্তারা কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান, এবং ইন্সপেক্টর ছগির হোসেনের ফোনে কল করলেও কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশে এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক চালান আটক করে অল্প কিছু মাদক দিয়ে আসামি চালান করে অর্থ আদায় করার অভিযোগ রয়েছে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার শফিকুল ইসলাম বিষয়টি অবগত না হলেও, ঘটনাটি জানার পর তিনি তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button