স্বামী, দ্বিতীয় স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে


মাগুরা সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের শ্রীমন্তপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জেরে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। প্রথম স্ত্রীর দেওয়া আগুনে পুড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন স্বামী, তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী এবং এক শিশুসন্তান। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রথম স্ত্রী সুমি খাতুনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে বাহারুল ইসলামের শোওয়ার ঘরে তাঁর প্রথম স্ত্রী সুমি খাতুন বাইরে থেকে দরজার সিটকিনি লাগিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই ঘরে তখন বাহারুল ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাঁদের শিশুসন্তান ঘুমিয়ে ছিলেন। আগুন দেখতে পেয়ে বাহারুল চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে এবং দগ্ধ অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত বাহারুলের মা জানান, তাঁর ছেলে প্রথম স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী সুমি খাতুন প্রায়ই হুমকি দিতেন যে, তার ছেলে যদি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে দূরে চলে না যায়, তাহলে তাদের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হবে। তিনি অভিযোগ করেন, ‘গত রাতে সুমি দোকান থেকে পেট্রোল কিনে এনে আমার ছেলের ঘরে আগুন দিয়েছে। সেখানে ছোট বউ আর আমাদের ছোট নাতি ঘুমিয়ে ছিল।’
হাজীপুর পুলিশ ক্যাম্পের এসআই আনসারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রথম স্ত্রী সুমি খাতুন স্বেচ্ছায় হাজীপুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং বর্তমানে তিনি থানা হেফাজতে রয়েছেন।
মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দগ্ধ তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার করা হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি আইয়ুব আলী জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ক্রাইম জোন ২৪