বগুড়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে খুন, আহত ৪


বগুড়ায় পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক হত্যা মামলার আসামি শাকিল খন্দকারকে (৪০) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বগুড়া শহরতলীর তেলিপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে একটি ধানখেত থেকে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের দুই ছেলেসহ আরও চারজন আহত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
নিহত শাকিল খন্দকার শহরের ছিলিমপুর মিয়াপাড়া এলাকার বাকিবুল্লাহ খন্দকারের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে যুবলীগ নেতা বিপ্লব হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তেলিপুকুর এলাকায় বালুর ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শাকিল খন্দকারের সঙ্গে স্থানীয় শামীম ও পলাশের দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে জমি কেনাবেচার পাওনা দেড় লাখ টাকা দেওয়ার কথা বলে শাকিলের আত্মীয় সুজন তাঁকে তেলিপুকুর গ্যাসপাম্পের পেছনে ডেকে নেন। সেখানে গেলে পলাশ ও শামীম প্রায় ৩০-৪০ জন সহযোগী নিয়ে প্রথমে শাকিলের ভাগিনা তৌফিককে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাকিলকে আঘাত করলে তিনি পালিয়ে যান।
স্বজনদের অভিযোগ, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা জনতাকে উসকে দিয়ে শাকিলের ছেলে জয়কে (২৪) দেশীয় অস্ত্র হাতে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। স্বজনেরা ওই রাতেই শাকিলের সন্ধান চেয়ে পুলিশের কাছে গেলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পরে শনিবার সকালে ধানখেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় শাকিলের ছেলে আপন (২৫) ও অপূর্ব (২২), ভাগিনা তৌফিক ইসলাম (৩২) এবং তৌফিকের বাবা রফিকুল ইসলাম গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শাকিলের চাচাতো ভাই মিরাজ খন্দকার বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে শাকিলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর জানান, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই নিলয়, রাতুলসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ক্রাইম জোন ২৪