ফ্যাসিবাদের সমর্থনকারী ও তাদের বয়ানে সুর মেলানোদের আইনের আওতায় আনা উচিত: রিজভী


বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যেকে ভুক্তভোগী। সবাই সর্বনিম্ন ৫০০ মামলায় আক্রান্ত। আমরা যারা আক্রান্ত, আমাদের সামনে অন্য কেউ লাঞ্ছিত হোক, সেটা চাই না। কিন্তু যারা ফ্যাসিবাদকে সমর্থন ও ফ্যাসিবাদের বয়ানে সুর মিলিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা উচিত। জনগণ তাদের বিচার দেখতে চায়।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটরিয়ামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথাগুলো বলেন। সভার আয়োজন করে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম।
জাতীয় পার্টির মহাসচিবের এক বক্তব্য উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, জাতীয় পার্টির দায় এখন বিএনপিকে নিতে হবে। বিএনপি তো এখন রাষ্ট্র ক্ষমতায় নেই। এখনো তো অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। তাহলে আপনি (জাতীয় পার্টির মহাসচিব) কিসের দায়ের কথা বলছেন?
‘যারা রাজনীতির কথা বলছেন, তাঁরা বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেন। বিএনপির যদি কোথাও সমালোচনা করার থাকে, তাহলে বিএনপি সেখানে সমালোচনা করবে। আপনি (জাতীয় পার্টির মহাসচিব) আবার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলছেন কেন? আপনারা কারা? যখন ইলিয়াস আলী গুম হয়, তখন কোথায় ছিলেন? যখন চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরু গুম হয়, তখন জাতীয় পার্টি কোথায় ছিল?
‘যখন ২০১৪-এর নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই, সেখানে কুকুর-বিড়াল, গরু-ছাগল ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেই নির্বাচনে যাব না–যাব না করতে করতে আপনারা (জাতীয় পার্টি) গেলেন। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হলো। সেদিন জাতীয় পার্টি কী ভূমিকা রেখেছে?’
রিজভী বলেন, ‘২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে জি এম কাদের ভারতে গেলেন। তখন সাংবাদিকেরা তাঁকে (জি এম কাদের) প্রশ্ন করলেন, আপনার সঙ্গে কী কথা হলো। তখন জি এম কাদের বলেছেন, ওদের (ভারত) পারমিশন ছাড়া কিছু বলতে পারব না। এই হচ্ছে জাতীয় পার্টি। আপনারা কি ভারতের কোনো রাজনৈতিক দল? নাকি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল? এই আপনাদের মেরুদণ্ড? এই আপনাদের নীতি এবং আদর্শ? এই আপনাদের চরিত্র?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা কোনো মব সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না। কে রাজনীতি করবে–কে করবে না, সেটা আইনের ব্যাপার। এটা সরকারের ব্যাপার। বিএনপি কোথাও কোনো মব সংস্কৃতি তৈরিও করেনি। বিএনপি উচ্ছৃঙ্খল জনতাতন্ত্রে বিশ্বাসী নয়। কিন্তু বিএনপির তো একটা অ্যানালাইসিস আছে যে জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী ছিল; অন্যান্য রাজনৈতিক দলের ভূমিকা কী ছিল।’
উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।
ক্রাইম জোন ২৪