শিরোনাম
চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণছুটির ঘোষণা পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরাপাহাড়িয়াদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ, বৃক্ষরোপণআজকের নামাজের সময়সূচি: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫বাংলাদেশে আর এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা চলবে না: বিএনপি নেতা এ্যানিবুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ৮১০ করল ডাকসু নির্বাচন কমিশনআমাদের ধর্ম, লিঙ্গ ও জাতিগত বিভাজনের উর্ধ্বে উঠতে হবে: প্রধান বিচারপতিচট্টগ্রামে পদদলিত হয়ে আহত একজন আইসিইউতে, মেলেনি পরিচয়অতিরিক্ত সহিংসতা হলে নির্বাচন ভঙ্গুর হয়ে যাবে: উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদঅযাচিতভাবে ডাকসুর ভোট চাওয়ায় কর্মীকে বহিষ্কার করল ছাত্রদলসেই জামায়াত নেতার কাছে ব্যাখ্যা চাইল চবি প্রশাসন

৬ দিনে ৮৫৪ প্রাণ কেড়ে নেওয়া বন্যাকে ‘আশীর্বাদ’ বললেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

৬ দিনে ৮৫৪ প্রাণ কেড়ে নেওয়া বন্যাকে ‘আশীর্বাদ’ বললেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে রেকর্ড ভাঙা মৌসুমি বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। এই বন্যায় এখন পর্যন্ত দেশটির প্রায় ২৪ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ডুবে গেছে এক হাজারেরও বেশি গ্রাম।

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) তথ্য অনুযায়ী, গত ২৬ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৮৫৪ জন এবং আহত হয়েছেন ১১ শ জনেরও বেশি।

এই পরিস্থিতির মাঝেই এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, বন্যার পানিকে ‘আশীর্বাদ’ হিসেবে দেখতে হবে। এমনকি বন্যায় প্লাবিত এলাকার মানুষদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, ‘যারা বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন, তারা এই পানি ঘরে নিয়ে আসুন। ঘরের টব কিংবা বড় বড় পাত্রে জমিয়ে রাখুন। আমরা পানি ড্রেনে ফেলে দিচ্ছি, অথচ আমাদের এটি সংরক্ষণ করা উচিত।’

খাজা আসিফ আরও প্রস্তাব দিয়েছেন—পাকিস্তানকে দীর্ঘ ১০–১৫ বছর অপেক্ষা করে বড় বাঁধ নির্মাণের বদলে দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে এমন ছোট ছোট বাঁধ নির্মাণে গুরুত্ব দিতে হবে।

এদিকে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের তথ্যমন্ত্রী আজমা বোখারি জানিয়েছেন, বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের সংখ্যা ইতিমধ্যেই কয়েক মিলিয়নে পৌঁছেছে। সতর্ক করা হয়েছে, চেনাব নদীর পানি মঙ্গলবারের মধ্যে মুলতান জেলায় পৌঁছাতে পারে এবং রাভি নদীর পানির সঙ্গে মিশে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। এ ছাড়া পঞ্জনদ নদীর পানির স্তর ৫ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সুতলেজ নদীর পানি ক্রমশ সুলেইমানকি ও হেড ইসলামসহ বিভিন্ন বাঁধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামী দুই দিন পাঞ্জাব জুড়ে আবারও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত করতে পারে এবং পানির স্তর আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, বন্যায় আবাদি জমি প্লাবিত হওয়ায় এবং পাকা ধান-গমসহ বিভিন্ন ফসল ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় পাকিস্তানে খাদ্যসংকট ও মূল্যস্ফীতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button