পাঞ্জাবে বন্যায় অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ


পাঞ্জাবে বন্যায় অন্তত ৩৭ জনের মৃত্যু, ক্ষতিগ্রস্ত লাখো মানুষ
কলকাতা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪৭
প্রলয়ংকরী এই বন্যায় রাজ্যের ২৩টি জেলা পানিতে তলিয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। ছবি: পিটিআই
গত চার দশকের মধ্যে এবার পাঞ্জাব ভয়াবহ বন্যার মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৮৮ সালের পর এমন পরিস্থিতির নজির নেই। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
প্রলয়ংকরী এই বন্যায় রাজ্যের ২৩টি জেলা পানিতে তলিয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। দেড় হাজারের বেশি গ্রাম পানির নিচে, অসংখ্য পরিবার ঘরবাড়ি ছেড়ে ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। কোথাও কোথাও পানির উচ্চতা ৮ থেকে ১০ ফুট পর্যন্ত উঠে যাওয়ায় মানুষকে ছাদে আশ্রয় নিতে হয়েছে এবং নৌকায় করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গুরুদাসপুর, পাঠানকোট, তরণ, ফিরোজপুর ও অমৃতসর জেলাগুলোতে পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ১.৪৮ হেক্টর জমির ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে।
সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে এবং বন্যাকবলিত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ভাগবত মান ফিরোজপুরসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেছেন এবং দেশবাসীকে পাঞ্জাবের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বলিউড ও পাঞ্জাবি সংগীতজগতের শিল্পীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। জনপ্রিয় গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্জ স্থানীয় প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে মিলে গুরুদাসপুর ও অমৃতসরের ১০টি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন।
অন্যদিকে প্রবল বর্ষণের কারণে হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখেও একই ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নদীর পানি বিপজ্জনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় একাধিক বাঁধ ভেঙে পড়েছে। ভারতের আবহাওয়া দপ্তর সতর্ক করে বলেছে, আরও কয়েক দিন উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে তীব্র বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ঝুঁকিতে হরিয়ানা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি অঞ্চলও। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্রমাগত উদ্ধারকাজ চালানো হলেও মানুষ এখনো প্রকৃতির ভয়ংকর রোষের মধ্যে রয়েছে।
ক্রাইম জোন ২৪