নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে আওয়ামী লীগ: শামসুজ্জামান দুদু


আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং এসব ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে আওয়ামী লীগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন। নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করা হয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আওয়ামী লীগ কখনোই চায় না। যত বড় ষড়যন্ত্রই হোক, ফ্যাসিস্টরা যত অর্থই ব্যয় করুক না কেন–দেশে নির্বাচন হবেই। এর বিকল্প নেই।
‘অতীতে যারা দায়িত্ব পালন করেছে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিএনপির বিশ্বাস, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঐতিহাসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ড. ইউনূস জাতির কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করবেন।’
গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেই নির্বাচনগুলোতে গণতন্ত্র লুণ্ঠিত হয়েছে এবং জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে।
এবার জনগণের জাগরণে সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর গণতন্ত্রের পতাকা ওড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান অভিযোগ করে বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আসতে না দেওয়া এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী হওয়া ঠেকানোর জন্যই কিছু মহল নির্বাচন বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সহিংস ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং জাগপার (জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি) সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের ওপর সশস্ত্র হামলার পেছনেও একই উদ্দেশ্য কাজ করেছে।
ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে সাবেক এই সংসদ সদস্য হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘বারবার ষড়যন্ত্র করলে এর ফল ভালো হবে না। জনগণ যদি আবার জেগে ওঠে, তাহলে আঘাতকারীদের রেহাই নেই।’
বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি দুদু বলেন, ‘এককভাবে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন, ১৬ বছরের সেই আন্দোলনের সমাপ্তি টানতে হবে। এর জন্য ঐক্যবদ্ধ থাকা ছাড়া কোনো পথ নেই।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী, কৃষক দলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি প্রমুখ।
ক্রাইম জোন ২৪