শিরোনাম
চার দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের গণছুটির ঘোষণা পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরাপাহাড়িয়াদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদ, বৃক্ষরোপণআজকের নামাজের সময়সূচি: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫বাংলাদেশে আর এক ব্যক্তির শাসনব্যবস্থা চলবে না: বিএনপি নেতা এ্যানিবুথের সংখ্যা বাড়িয়ে ৮১০ করল ডাকসু নির্বাচন কমিশনআমাদের ধর্ম, লিঙ্গ ও জাতিগত বিভাজনের উর্ধ্বে উঠতে হবে: প্রধান বিচারপতিচট্টগ্রামে পদদলিত হয়ে আহত একজন আইসিইউতে, মেলেনি পরিচয়অতিরিক্ত সহিংসতা হলে নির্বাচন ভঙ্গুর হয়ে যাবে: উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদঅযাচিতভাবে ডাকসুর ভোট চাওয়ায় কর্মীকে বহিষ্কার করল ছাত্রদলসেই জামায়াত নেতার কাছে ব্যাখ্যা চাইল চবি প্রশাসন

৮ দফা দাবিতে সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান হাতিয়াবাসীর

৮ দফা দাবিতে সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান হাতিয়াবাসীর

Ajker Patrika

৮ দফা দাবিতে সিভিল সার্জন অফিসের সামনে অবস্থান হাতিয়াবাসীর

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৩

Photo

আট দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার নোয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দারা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চিকিৎসক-নার্স, শয্যা ও সরঞ্জাম সংকট নিরসনসহ আট দফা দাবিতে নোয়াখালী সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দারা। এ সময় তাঁরা সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন হাতিয়ার বাসিন্দারা। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জান্নাতুন নাঈম কেয়ার নেতৃত্বে একদল প্রতিনিধি এসে আগামী এক মাসের মধ্যে দাবি পূরণের জন্য সময় নিলে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, হাতিয়া নোয়াখালীর একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে প্রায় আট লাখ মানুষের বসবাস। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত আছেন মাত্র ছয়জন চিকিৎসক। দীর্ঘ বছর ধরে দ্বীপটির স্বাস্থ্যসেবায় চরম অব্যবস্থাপনা ও চিকিৎসক সংকট চলে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অবস্থান কর্মসূচিতে আসা কয়েকজন বলেন, ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে চিকিৎসকের পদ শূন্য থাকায় সাধারণ মানুষ ন্যূনতম স্বাস্থ্যসেবা থেকেও বঞ্চিত। কোনো রোগী সামান্য জটিলতায় পড়লেও দ্বীপ থেকে জেলা শহর বা চট্টগ্রাম বা ঢাকায় যেতে হয়। আবহাওয়া খারাপ থাকলে বা যাতায়াতের ব্যবস্থা না থাকলে যা অনেক সময় সম্ভব হয় না। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তো দূরের কথা, সাধারণ চিকিৎসকও মিলছে না। প্রসূতি চিকিৎসক না থাকায় প্রসূতি মায়েদের নানা জটিলতায় পড়তে হয়। প্রসবের সময় মৃত্যুও হয়েছে অনেকের। চিকিৎসাসেবা না পেয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা জান্নাতুন নাঈম কেয়ার নেতৃত্বে জেলা সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিদল আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করে এবং সমস্যা সমাধানে এক মাস সময় নেয়। এ সময় প্রতিবাদকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এক মাসের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন হাতিয়ার সাধারণ মানুষ।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button