৩ দফা দাবিতে রাবিতে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের অবস্থান


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলোর জোট ‘গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট’। আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করে তারা।
দাবিগুলো হলো রাকসু নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র আবাসিক হলের বদলে একাডেমিক ভবনে স্থাপন, আবাসিক হলে কোরআন পোড়ানো, রেজিস্ট্রারের বাসায় হাতবোমা বিস্ফোরণ এবং ছাত্রজোটের কর্মসূচিতে হামলার তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা, সাইবার বুলিং রোধে কার্যকর সেল গঠন এবং নির্বাচনে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা।
কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা ‘রাকসু নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত কর’, ‘অবিলম্বে ভোটকেন্দ্র হলের বাইরে স্থাপন কর’, ‘গণতান্ত্রিক জোটের ওপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার কর’, ‘সাইবার বুলিং রোধে দ্রুত নিরাপত্তা সেল কার্যকর কর’ এবং ‘সন্ত্রাসীদের ভোটাধিকার বাতিল কর’—এসব দাবিতে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
এ বিষয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংঘটিত হয়েছে। ছাত্রজোটের ওপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এখনো হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমরা সাইবার বুলিংয়ের শিকার হচ্ছি। আবাসিক হলগুলো ‘ক্যান্টনমেন্টে’ পরিণত হয়েছে। সেখানে ভোট হলে তা একপক্ষের জন্যই সুবিধাজনক হবে, যা সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা।’
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সংঘটিত সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা মনে করব, প্রশাসন সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দিচ্ছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক পরিবেশের জন্য বড় বাধা। গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত না হলে সুষ্ঠু রাকসু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের ৩ দফা দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ সৈকত, ছাত্র গণমঞ্চের আহ্বায়ক নাসিম সরকার, সদস্যসচিব সজল কুমার, বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সদস্য আল আশরাফ রাফি এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী।
৭ আগস্ট একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও রাকসু কোষাধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
ক্রাইম জোন ২৪