শিরোনাম

জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণের সংঘর্ষে যুবক নিহত

জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণের সংঘর্ষে যুবক নিহত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে শাহ আলম (২০) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে দুই দল সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পে আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে কথিত শান্তি বাহিনী নামে একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছে শাহনেওয়া সান্নু এবং পিচ্চি রাজা গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছে রাজা নিজেই। সে গায়েগতরে ছোট হওয়ায় পিচ্চি রাজা ডাকে সবাই। তবে ক্যাম্পে তাঁদের দুজনের কেউ উপস্থিত নেই। তাদের অনুসারিরা এই সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে।

সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের সরু অলিতে অবস্থান নেয় শান্তি বাহিনীর গ্রুপ এবং দক্ষিণ পাশে অবস্থান নেয় পিচ্চি রাজার অনুসারীরা। তারা দুপুরে দফায় দফায় ক্যাম্পে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনায়। এতে ক্যাম্পে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কিছুক্ষণ পরপর সরু গলি থেকে বের হয়ে ইটপাটকেল ছুড়ে আবার হারিয়ে যায়। বেলা দুটার পর পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো হয় ক্যাম্পে। পুলিশ অভিযান শুরু করলে টের পেয়ে চলে যায় দুই গ্রুপের সদস্যরা। এ সময় শাহ আলম নামে এক তরুণকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে যায়। তবে সে কোন গ্রুপের হয়ে কাজ করত, তা জানা যায়নি। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে কর্মব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অভিযোগ, নতুন করে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল ও বেজি নাদিম শান্তি বাহিনী নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের হয়ে কাজ করে। তারা পিচ্চি রাজার নিয়ন্ত্রণাধীন মাদকের কারবার দখলের চেষ্টা করছে। এই নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবুর্চি বশির (৪০), মদিনা (২০) ও ফায়জান (২৫)। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পের পাকা এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণে বাবুর্চি নাসির নামে আরেক ব্যক্তি আহত হন।

গত রোববার (১০ আগস্ট) তিন দফা ককটেল বিস্ফোরণে দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানসিক ভারসাম্যহীন মদিনা বেগম গুরুতর আহত হন।

জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাহ নেওয়াজ, বুনিয়া সোহেল, পোপলা মুন্না, বেজি নাদিম, চুয়া সেলিম, খুল্লা সাহিদ ও দোগলা আজমসহ বেশ কয়েকজনের নামে মাদক ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারাই ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তারা গ্রুপ করে অপরাধ করে।

মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। তবে তারা জামিনে এসে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আজ দুপুরে অভিযান চালিয়ে ফয়সাল ও সেলিম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button