শিরোনাম
শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচন স্থগিতের আদেশ আদালতেরঅটোরিকশায় চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে যুবকের মৃত্যু‘বিচারপতি খায়রুলকে হাতকড়া পরানো মানে পুরো বিচার বিভাগকে হাতকড়া পরানো’মার্কিন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে এনসিপি নেতাদের বৈঠকবিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা অনুমোদনগৃহহীনদের উচ্ছেদে নাছোড়বান্দা ট্রাম্প, ন্যাশনাল গার্ড–এফবিআই নামাচ্ছেন সড়কেসাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছাবে মডেল মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টাজোটবদ্ধ নির্বাচনেও থাকবে দলীয় প্রতীক৩২৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে চীনের লেসো গ্রুপ, সাড়ে ১২ একর জমি হস্তান্তরআরও ৪৮৮ কোটি বিনিয়োগ করবে চীনা খাইশি গ্রুপ

জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা দখলে নিতে পাঁচদিন ধরে চলছে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

জেনেভা ক্যাম্পে মাদক ব্যবসা দখলে নিতে পাঁচদিন ধরে চলছে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

মাদকের সংঘাতে ফের অস্থির হয়ে উঠেছে মোহাম্মদপুরে আটকে পড়া পাকিস্তানিদের আবাসস্থল জেনিভা ক্যাম্প। মাদকের ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে জেনেভা ক্যাম্পে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে টানা পাঁচ দিন ধরে ভয়াবহ সংঘর্ষ চলছে। একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয়রা।

গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ সোমবার ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে কয়েক’শ পুলিশ মোতায়েন করে অভিযান চালায় মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি জামিনে ছাড়া পাওয়া শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন করে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে। মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল ও বেজি নাদিম ‘শান্তি বাহিনী’ নামে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ ভাড়া করে ক্যাম্পের ‘পিচ্চি রাজা’র নিয়ন্ত্রণাধীন মাদকের ব্যবসা দখলের চেষ্টা করছে। শান্তি বাহিনীর প্রধান শাহনেওয়াজ সান্নুর নেতৃত্বে ককটেল বিস্ফোরণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বুনিয়া সোহেলকে পিস্তল হাতে গুলি চালাতে দেখা গেছে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন বাবুর্চি বশির (৪০), মদিনা (২০) ও ফায়জান (২৫)। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাম্পের পাকা এলাকায় বিয়ের অনুষ্ঠানে ককটেল বিস্ফোরণে বাবুর্চি নাসির আহত হন।

গত রোববার (১০ আগস্ট) তিন দফা ককটেল বিস্ফোরণে দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানসিক ভারসাম্যহীন মদিনা বেগম গুরুতর আহত হন।

জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বুনিয়া সোহেল, পোপলা মুন্না, বেজি নাদিম, চুয়া সেলিম, খুল্লা সাহিদ ও দোগলা আজমসহ বেশ কয়েকজনের নামে মাদক ও হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ বা র‍্যাবের অভিযান সম্পর্কে তারা আগাম খবর পেয়ে যায়, যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে তাদের যোগসাজশের সন্দেহ তৈরি করেছে।

মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার জুয়েল রানা বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে। আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। তবে তারা জামিনে এসে আবার সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ফয়সাল ও সেলিম নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button