শিরোনাম

সবচেয়ে বড় হা করে বিশ্ব রেকর্ড মার্কিন তরুণের

সবচেয়ে বড় হা করে বিশ্ব রেকর্ড মার্কিন তরুণের

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা বা ‘সবচেয়ে বড় মুখ খোলার’ রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার তরুণ আইজ্যাক জনসন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুখ খোলা অবস্থায় তাঁর ওপরের দাঁত থেকে নিচের দাঁত পর্যন্ত দূরত্ব ১০ দশমিক ১৯৬ সেন্টিমিটার বা ৪ দশমিক ০১৪ ইঞ্চি, যা একটি বেসবলের আকারের প্রায় সমান।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে মাত্র ১৪ বছর বয়সে প্রথম এই রেকর্ড গড়েছিলেন আইজ্যাক। তখন তাঁর মুখের গ্যাপ ছিল ৯.৩৪ সেন্টিমিটার। কিন্তু একই বছরের নভেম্বরে আরেক মার্কিন নাগরিক ফিলিপ অ্যাঙ্গাস ৯ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার গ্যাপ নিয়ে রেকর্ড ছিনিয়ে নেন।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা করে রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিন তরুণ। ছবি: গিনেস রেকর্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা করে রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিন তরুণ। ছবি: গিনেস রেকর্ড

এরপর ২০২০ সালে আইজ্যাক ফের রেকর্ড পুনর্দখল করেন। সর্বশেষ ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ইতালির মিলানে ‘Lo Show Dei Record’ নামের এক টিভি শো’র সেটে রেকর্ডটি আবার ভাঙেন তিনি। এবারে, তিনি আগের চেয়ে আরও দশমিক ০২১ সেন্টিমিটার বড় হা করেন।

আইজ্যাকের মুখ এতটাই বড় যে, তিনি অনায়াসে নিজের মুষ্টি, একটি পূর্ণ কমলা, এমনকি চারটি ম্যাকডোনাল্ডস চিজবার্গারও একসঙ্গে মুখে পুরতে পারেন! নিজের এই অদ্ভুত ক্ষমতা নিয়ে গিনেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইজ্যাক বলেন, ‘আমার মুখটাই সবচেয়ে বড়—এটা নিয়ে আমি গর্বিত।’

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা করে রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিন তরুণ। ছবি: গিনেস রেকর্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা করে রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিন তরুণ। ছবি: গিনেস রেকর্ড

তবে সবকিছুর শুরু হয়েছিল আরও আগে। জার্মানির বার্ন্ড স্মিডের একটি ভিডিও দেখে। সেখানে দেখা যায়, বার্ন্ড ৮ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত মুখ খুলতে পারেন। সেটিই অনুপ্রাণিত করে আইজ্যাককে। নিজের মুখের পরিমাপ তখনই বার্ন্ডকে ছাড়িয়ে যায়, ফলে শুরু হয় রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা করে রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিন তরুণ। ছবি: গিনেস রেকর্ড
বিশ্বের সবচেয়ে বড় হা করে রেকর্ড গড়েছেন এক মার্কিন তরুণ। ছবি: গিনেস রেকর্ড

রেকর্ড গড়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেন আইজ্যাক। টিকটকে তাঁর মুখ খোলার ভিডিও এখন পর্যন্ত ৭ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। এরই মধ্যে তিনি হয়ে উঠেছেন এক নতুন ধরনের সেলিব্রিটি। আইজ্যাক মনে করেন, ‘প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো প্রতিভা থাকে। যেকোনো মানুষই অসাধারণ হতে পারে, যদি সেই প্রতিভাকে কাজে লাগায়।’

রেকর্ডটি যতবার ভাঙা হয়েছে, প্রতিবারই আইজ্যাক নিজের আগের সীমাকে অতিক্রম করেছেন। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যেন তাঁর মুখের গ্যাপও বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর এই শারীরিক বৈশিষ্ট্য বেশ বিরল এবং একে প্রাকৃতিকভাবেই ব্যতিক্রমী হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বর্তমানে ‘সবচেয়ে বড় মুখ খোলার’ এই রেকর্ডটি বিশ্বজুড়ে আলোচিত। গিনেস জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কেউ যদি এই রেকর্ড ভাঙতে চায়, তবে সেটি হবে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। আর তত দিন পর্যন্ত এই ‘মুখ খুলে তাক লাগিয়ে দেওয়া’ কীর্তির একচ্ছত্র অধিকারী রয়ে যাবেন আইজ্যাক জনসন।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button