শরীয়তপুরে মহিলা মাদ্রাসায় হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ


শরীয়তপুর সদর উপজেলার মধ্য চররোসুন্দী মহিলা মাদ্রাসায় সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের উপযুক্ত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় ওই মাদ্রাসায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে রুদ্রকর ইউনিয়নের মধ্য চররোসুন্দী মহিলা মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে মাদ্রাসার পরিচালক সামচুল হক শিরাজী বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর যাবৎ মাদ্রাসাটি সুনামের সঙ্গে পরিচালনা করে আসছি। বিভিন্ন এলাকার মেয়েরা এই মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে সুনামের সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণ করছে। কিন্তু এলাকার হারুন তালুকদার, গণি তালুকদার, শফিক তালুকদার, রফিক তালুকদারসহ তাঁদের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দিয়ে জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে।’
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বুধবার দুপুরে এলাকার হারুন তালুকদার, গণি তালুকদার, শফিক তালুকদার, রফিক তালুকদারসহ তাদের লোকজন হামলা চালিয়ে মাদ্রাসা ভাঙচুর ও মূল্যবান আসবাবপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে এলাকার নুরু তালুকদার, হাচেন মাদবর, নজরুল তালুকদার, আজগর তালুকদার, মোক্তার তালুকদারসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে শফিক তালুকদার বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের যে অভিযোগ করেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাদের সাথে আমাদের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ রয়েছে। তারা আমাদের জমি দখল করে জোরপূর্বক টিন দিয়ে বেড়া দিয়েছে। আমরা সেই বেড়া ভেঙে দিয়েছি। আমরা কোনো মাদ্রাসা ভাঙচুর করিনি।’
পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।