কাদাপথে তিন কিলোমিটারে চরম দুর্ভোগ


খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদ চাইল্যাচর। সবুজ পাহাড়, উঁচু-নিচু পথ আর নির্জন পরিবেশে এই জনপদ দেখতে যতটা মনোমুগ্ধকর, বসবাসের দিক থেকে ততটাই কষ্টসাধ্য।
এলাকার একমাত্র যাতায়াতের সড়কটি মানিকছড়ি উপজেলার কুমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে শুরু হয়ে চাইল্যাচর বৌদ্ধ বিহার পর্যন্ত গেছে। প্রায় তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই কাঁচা পথ দিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করে শতাধিক পরিবারের সদস্যরা।
দীর্ঘদিনের পুরোনো বসতি হলেও এই পথে এখনো উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। সড়কটি কাঁচা থাকায় বর্ষা এলেই পরিণত হয় কাদায়। এ সময় এই পথ হয়ে কৃষিপণ্য পরিবহন, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত কিংবা অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নেওয়া—সবই হয়ে ওঠে দুঃসাধ্য।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাঁদের। কেউ দেখার নেই। উন্নয়নের কোনো ছাপই এই এলাকায় পড়েনি।

চাইল্যাচরের শিক্ষার্থী উষাপ্রু মারমা বলেন, ‘চাইল্যাচরপাড়া থেকে প্রাথমিকের প্রায় ৫০ জন আর আমরা মাধ্যমিকের ১২–১৫ জন শিক্ষার্থী প্রতিদিন এই কাঁচা পথে হেঁটে স্কুলে যাই। বর্ষাকালে এই রাস্তায় কাঁদা জমে যায়, জুতা ও কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। খুবই কষ্ট হয়।’
স্থানীয় পাড়া কার্বারি উসামং মারমা বলেন, ‘বর্ষার ছয় মাস শিশুদের ঠিকমতো স্কুলে পাঠানো যায় না। অসুস্থ রোগী হলে এখনো কাঁধে করে মূল সড়কে নিতে হয়। আমরা এই অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কংচাইরী মারমা বলেন, ‘সড়কটি সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদ ও এলজিইডির মাধ্যমে একাধিকবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
এ বিষয়ে মানিকছড়ি উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজী মাসুদুর রহমান বলেন, ‘সড়কটি আমরা পরিদর্শন করেছি। বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে যত দ্রুত সম্ভব এটি উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে।’