বিমানে কী খাওয়া যাবে না


ভুল খাবার খাওয়ার কারণে বিমানযাত্রা হয়ে উঠতে পারে অস্বস্তিকর; এমনকি হতে পারে স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণও। উচ্চতার কারণে বাতাসের চাপ নিয়ন্ত্রিত হলেও রক্তে অক্সিজেন কমে যাওয়া এবং হজমে এনজাইমের কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। ফলে দেখা দিতে পারে গ্যাস, পেট ফোলা ও বমি বমি ভাব এবং হজমজনিত নানা সমস্যা। এ ছাড়া বিমানে কোন যাত্রীর কী ধরনের শারীরিক সমস্যা আছে, সেটা জানা যায় না। এ ছাড়া আপনার খাবার অন্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে। অ্যালার্জির মতো রোগে আপনার খাবার অন্যের সমস্যা হতে পারে। তাই যাত্রা আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর করার জন্য সচেতনভাবে খাবার বাছাই করতে হবে।
যেসব খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে—
ভাজা ও মসলাযুক্ত খাবার
ভাজা খাবারে অতিরিক্ত চর্বি ও লবণ থাকে। তাই হজমে সমস্যা তৈরি হয়। এ ধরনের খাবার শরীরে পানি ধরে রাখে। ফলে যাত্রাপথে পেট ফোলা ভাব দেখা দেয়। এ ছাড়া মসলাজাতীয় খাবার অনেকের পেটে অস্বস্তি বা জ্বালাভাব তৈরি করতে পারে। তাই ফ্লাইটের আগে কিছুটা সাদামাটা খাবার খাওয়া ভালো।
অতিরিক্ত লবণে প্রক্রিয়াজাত খাবার ও রসুন
চিপস, হিমায়িত খাবার ইত্যাদিতে উচ্চমাত্রার সোডিয়াম ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এগুলো শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। রসুন খেলে এর গন্ধ থাকতে পারে দীর্ঘক্ষণ। এটি আশপাশের যাত্রীর জন্য হতে পারে অস্বস্তির।
লাল মাংস
লাল মাংস হজমে সময় নেয়। এতে অনেকের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়।
কোমল পানীয়, কফি, চা ও অ্যালকোহল
কোমল পানীয় ও অ্যালকোহল পানে গ্যাস, ঢেকুর ও হালকা বুকজ্বালার সমস্যা হতে পারে। আর চা ও কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরে পানির ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। এতে ফ্লাইটে ক্লান্তি ও মাথাব্যথা বাড়ে। এগুলো রক্তচাপের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
বাদাম ও শুকনো ফল
ফ্লাইটের অন্য যাত্রীদের বাদামে অ্যালার্জি থাকলে বিমানে বাদাম খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। শুকনো ফলে সালফাইট থাকতে পারে, যা হাঁপানি রোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
কিছু সবজি
ডাল, ছোলা, মটরশুঁটি ইত্যাদিতে থাকা শর্করা হজমে সময় নেয়। এ ছাড়া ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপিজাতীয় সবজিতে পেটে গ্যাস হতে পারে, যা বিমানে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
ট্যাপের পানি
২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিমানের ট্যাপ ওয়াটারে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে। এতে ডায়রিয়া বা পেটব্যথার আশঙ্কা থাকে।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক, সিএনএন ট্রাভেল