গাংনীতে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী


গাংনীতে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতি, আতঙ্কে এলাকাবাসী
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৯: ৪৬
খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ছবি : আজকের পত্রিকা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা সড়কে বোমা ফাটিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাতে এই সড়কে পথচারী ও ব্যবসায়ীদের গতি রোধ করে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ডাকাতের দল। পরে পালানোর সময় তারা তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাংনী থানাসংলগ্ন ধানখোলা সড়কে কয়েকজন সশস্ত্র ডাকাত পথচারী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। তারা জানান, ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মতো লুটপাট হয়। ঘটনার সময় এলাকাবাসীর হইচই শুনে ডাকাতেরা তিনটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, গাংনী পৌরসভার ধানখোলা সড়কে বিল্লাল নার্সারির সামনে সাত-আটজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় ইয়াসির আরাফাতের কাছ থেকে ৭ হাজার, আবদুল হালিমের কাছ থেকে ৬০০, শাহজামালের কাছ থেকে ৫ হাজার, রেজিয়া খাতুনের কাছ থেকে ৭০০, মিন্টু আলীর কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০, মহব্বত আলীর কাছ থেকে ২ হাজার ২০০, মিন্টু হোসেনের কাছ থেকে ৯ হাজার ৭০০ এবং কুরসিয়া খাতুনের কাছ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকাসহ প্রায় ২০-২৫ জনের কাছ থেকে মোট ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
ভুক্তভোগী আবদুল হালিম বলেন, ‘আমরা গাংনী থেকে বাড়ি যাচ্ছিলাম। এ সময় ডাকাতেরা আমাদের পথ রোধ করে মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। কথা বললেই মারধর করছিল। নারীও ছিল তাঁদের সঙ্গে। তাঁদের বয়স ২৫ বছরের আশপাশে।’
অন্য আরেক ভুক্তভোগী মিন্টু হোসেন বলেন, ‘আমিও গাংনী থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। ধানখোলা সড়কে বিল্লাল নার্সারির কাছে পৌঁছালে ডাকাতেরা আমাদের গতি রোধ করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর বোমা ফাটিয়ে তারা পালিয়ে যায়।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাবিবুল বাশার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ধানখোলা সড়কে কয়েকজন পথচারী ও ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ডাকাতি হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো জরুরি।’
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।’