রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম নিয়ে আদেশ পেছাল


রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (পদমর্যাদাক্রম) নিয়ে আপিল বিভাগের রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে করা আবেদনের আদেশের দিন পিছিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ধার্য করা হয়েছে।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আজ বুধবার এই দিন ধার্য করে দেন।
এর আগে গত ৩০ জুলাই শুনানি শেষে আজকে আদেশের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছিল। তবে আদালত রিভিউ আবেদনকারীদের অ্যাডিশনাল গ্রাউন্ড (অতিরিক্ত যুক্তি) জমা দেওয়ার জন্য সময় দিয়ে আগামীকাল আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন।
রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করে সরকার। সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালে। সেখানে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন যুক্তিতে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের ওপরের দিকে রাখা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়। আর প্রধান বিচারপতির পদক্রম জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান করা হয়।
২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক রিভিউ আবেদন করেন। পরবর্তীতে রিভিউ আবেদনে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলরা এতে পক্ষভুক্ত হন।
রিভিউ আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন। রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম।