শিরোনাম

বোয়িংয়ের যুদ্ধাস্ত্র কারখানার শ্রমিকদের ধর্মঘট

বোয়িংয়ের যুদ্ধাস্ত্র কারখানার শ্রমিকদের ধর্মঘট

যুক্তরাষ্ট্রে সামরিক বিমান ও অস্ত্র তৈরি করা বোয়িং কারখানার হাজারো শ্রমিক ধর্মঘটে নেমেছেন। গতকাল সোমবার থেকে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস ও সেন্ট চার্লস এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের মাসকুটা শহরে বোয়িং কারখানায় এ ধর্মঘট শুরু হয়। বেতন বৃদ্ধি ও নতুন চুক্তির বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় এই পদক্ষেপ নিয়েছেন শ্রমিকেরা।

আল জাজিরা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ট্রেড ইউনিয়ন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব মেশিনিস্টস অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ওয়ার্কার্সের (আইএএম) প্রায় ৩ হাজার ২০০ স্থানীয় সদস্য গত রোববার চার বছরের সংশোধিত শ্রমচুক্তি প্রত্যাখ্যানের পক্ষে ভোট দেন।

এই সংগঠনের মিডওয়েস্ট শাখার সহসভাপতি স্যাম সিসিনেলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আইএএম ডিস্ট্রিক্ট ৮৩৭-এর সদস্যরা এমন বিমান ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা তৈরি করেন, যা আমাদের দেশকে সুরক্ষিত রাখে। তাদের প্রাপ্য এমন এক চুক্তি, যা তাদের পরিবারকে নিরাপদ রাখবে এবং তাদের অতুলনীয় দক্ষতাকে স্বীকৃতি দেবে।’

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, বোয়িং কারখানার শ্রমিকেরা এক সপ্তাহের কুলিং অফ পিরিয়ড (চুক্তি আলোচনার পর দুই পক্ষকে পুনর্বিবেচনা ও আলোচনার সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট বিরতির সময়) শেষে প্রথম প্রস্তাবিত চুক্তিও প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ওই প্রস্তাবে চার বছরে ২০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি এবং ৫ হাজার ডলারের এককালীন বোনাস দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।

বোয়িং সম্প্রতি বলেছিল, ধর্মঘটের আশঙ্কা করছে তারা। কারণ, শ্রমিকেরা তাদের সর্বশেষ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সেই প্রস্তাবে প্রস্তাবিত মজুরি বৃদ্ধি আর বাড়ানো হয়নি। তবে প্রস্তাব থেকে এমন একটি শর্ত বাদ দেওয়া হয়েছিল, যা থাকলে শ্রমিকদের অতিরিক্ত সময় কাজ করে (ওভারটাইম) বেশি আয় করার সুযোগ কমে যেত।

এ বিষয়ে বোয়িং এয়ার ডমিন্যান্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জেনারেল ম্যানেজার এবং সেন্ট লুইস শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ড্যান গিলিয়ান বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবে গড়ে ৪০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি বিকল্প কাজের সময়সূচি নিয়ে শ্রমিকদের মূল সমস্যার সমাধান ছিল। তা সত্ত্বেও তারা প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করায় আমরা হতাশ।’

তিনি বলেন, ‘আমরা ধর্মঘটের জন্য প্রস্তুত এবং বিকল্প পরিকল্পনা পুরোপুরি কার্যকর করেছি, যাতে কর্মরত শ্রমিকেরা গ্রাহকদের সেবা অব্যাহত রাখতে পারে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button