ব্যস্ত শাহবাগ মোড় বন্ধ, যানজটে দিনভর ভোগান্তি


রাজধানীর অন্যতম প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ এলাকায় একযোগে তিনটি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচির কারণে আজ সকাল থেকে মোড়টি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে আশপাশের সড়কগুলোতে প্রচণ্ড যানজট দেখা দেয়। ভোগান্তিতে পড়েন নারী, শিশু ও বৃদ্ধসহ নানা শ্রেণি ও বয়সের মানুষ। জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিকেন্দ্রিক বড় কর্মসূচি হওয়ায় আগের দিনই যানজটের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছিল পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
সকাল থেকে যান চলাচলের গতিপথ পাল্টে দেওয়ায় বিকল্প রুটগুলোতেও গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। দুপুর গড়াতেই এই চাপ ছড়িয়ে পড়ে ফার্মগেট, মৌচাক, ধানমন্ডিসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়। ট্রাফিক পুলিশ যান চলাচল সচল রাখতে ‘সর্বোচ্চ চেষ্টা’র কথা বললেও বিকেলের দিকে যানজটের ভোগান্তি আরও বেড়ে যায়। একই সঙ্গে বাসের মতো গণপরিবহনের অভাব থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন অনেক মানুষ। অফিস ছুটির সময় কষ্ট আরও বেড়ে যায়।
গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে শাহবাগ মোড়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশ, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জনসভা এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’র ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই তিন কর্মসূচির কারণে সকাল থেকেই শাহবাগ চত্বরের চারপাশের সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হয়। এর প্রভাব পড়ে আশপাশের বড় এলাকাজুড়ে।
রমনা ট্রাফিক বিভাগের উপকমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টা থেকেই শাহবাগ এলাকায় ডাইভারশন চালু করা হয়। এতগুলো কর্মসূচি কাছাকাছি হওয়ায় কিছুটা চাপ স্বাভাবিক।’
ট্রাফিক কনস্টেবল সারোয়ার বলেন, ‘পল্টন থেকে শাহবাগ ও বাংলামোটরের সব যানবাহনকেই কাকরাইল হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। এতে কাকরাইল-মৌচাক রুটে যানজট কিছুটা বেড়ে যায়। সভা-সমাবেশ হলে এতটুকু যানজট স্বাভাবিক।’
গুলিস্তান থেকে বাড্ডাগামী বাসযাত্রী খালেক হোসেন বলেন, ‘কিছু বাস এলেও অনেক ভিড়। যাত্রীর অনেক চাপ।’
ডিএমপির মুখপাত্র তালেবুর রহমান আজকের পত্রিকার সঙ্গে আলাপে দাবি করেন, আগে থেকেই গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়ায় ‘অপ্রয়োজনীয় চলাচল’ কমেছে এবং ভোগান্তিও কিছুটা কম হয়েছে।
ছাত্রদল ও এনসিপির তরফ থেকে দলটির কোনো কোনো নেতা সম্ভাব্য যানজটের কথা বলে শনিবার আগাম দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন।