পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার


সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যার পর পুলিশের সাঁজোয়া যান এপিসির ওপর থেকে শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের মরদেহ ফেলে দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার (৩ আগস্ট) সকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার মুরাপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মোহাম্মদ আলী কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানার কালাইহাতি গ্রামের মুনসুর আলী ও নাজমা আক্তারের ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় করা হত্যা মামলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইসিটি আইনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ সকালে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা জানান, ইয়ামিন হত্যা মামলায় এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার সাভারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে যোগ দেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাইখ আসহাবুল ইয়ামিন। সেদিন দুপুরে পুলিশের গুলিতে তিনি নিহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইয়ামিনের নিথর দেহ পরে পুলিশের এপিসির ওপরে রাখা হয় এবং সেখান থেকে লাশটি ফেলে দেওয়া হয়।