স্বাস্থ্য খাত সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নে প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশন সভাপতির চিঠি


স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশসমূহ দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য প্রধান উপদেষ্টার পদক্ষেপ কামনা করেছেন কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। আজ রোববার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অফিশিয়াল প্যাডে তাঁর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি প্রধান উপদেষ্টাকে পাঠানো হয়েছে। তাতে একটি স্বাধীন ও কার্যকর ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন’ গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ মে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন কর্তৃক প্রণীত সুপারিশমালা প্রধান উপদেষ্টার নিকট উপস্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত তার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ও জনস্বার্থসংশ্লিষ্ট উন্নয়ন থমকে রয়েছে। কমিশনের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক কোনো বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়নি। কমিশনের কার্যকর সম্পৃক্ততা ছাড়া সুপারিশ বাস্তবায়ন অসম্পূর্ণ ও অগ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়ায় রূপ নিতে পারে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
চিঠির সত্যতার বিষয়ে আজ সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে আজাদ খান বলেন, ‘আপনি যে চিঠি পেয়েছেন, সেটিই প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া হয়েছে। কমিশন প্রতিবেদনটি সরকারকে দেওয়ার পর তারা এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনা করেনি।’
জাতীয় অধ্যাপক আজাদ খান চিঠিতে বলেন, এই সংস্কার একটি সময়োপযোগী, বাস্তবভিত্তিক ও সুদূরপ্রসারী রূপকল্প দিয়েছে। বাস্তবায়ন একটি যুগান্তকারী উদ্যোগে পরিণত হতে পারে।
চিঠিতে উল্লেখ করা সুপারিশগুলো হলো— প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে দ্রুত বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া শুরু করা; একটি স্বাধীন ও স্থায়ী ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন’ গঠন করা, যা স্বাস্থ্য খাতের পরিকল্পনা, মনিটরিং ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে; জনগণের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বাজেট, নীতিমালা ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া।
চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ কামনা করে কমিশনের প্রধান লিখেছেন, সরাসরি প্রধান উপদেষ্টাকে কমিশনের প্রস্তাবনার গুরুত্ব ও বাস্তবায়ন কৌশল নিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে অবহিত করা যাবে।
এর আগে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত সংস্কারে কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে ১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি খোলাচিঠি লেখেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যনীতি বিশেষজ্ঞ ছয় ব্যক্তি। তাঁরা এই সুপারিশগুলোকে আগামী ‘জুলাই চার্টার ২০২৫’-এ অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন চিঠিতে।