ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বরিশাল বিমানবন্দর থানা পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি


বরিশালের কাশিপুর এলাকায় লিটু সিকদার নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করার পর, বিমানবন্দর থানা পুলিশ ১০/১১ জন সন্দেহভাজনকে আটক করে। তবে এ ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আটককৃত সন্দেহভাজনদের মধ্যে ৬/৭ জন নিরপরাধ হওয়ায় তাদের মুক্তি দেওয়া হয়, কিন্তু মুক্তির জন্য প্রত্যেককে ১৫-২০ হাজার টাকা করে ঘুষ দিতে বাধ্য করা হয়, এমনটি দাবি করেছেন ডিবিসি নিউজ-এর জেলা প্রতিবেদক মো. ওমর ফারুক, যিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
মো. ওমর ফারুক তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন, “আমার সহায়তার জন্য আমি একটি ছোট ভাইকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম, তাকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ কমিশনারকে বিষয়টি জানালে তিনি নির্দেশ দেন আমার সহযোগীকে ছেড়ে দিতে। তবে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তাকে থানা হাজতে আটকে রাখা হয়। শেষে ৮ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে তাকে মুক্তি নিতে হয়েছে।”
ফারুক আরও জানান, পুলিশ শুধুমাত্র ঘুষ গ্রহণই করেনি, বরং অনেক নিরপরাধ মানুষকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। “একজন ব্যক্তি পুলিশের সামনে কুপিয়ে মারা হলেও পুলিশকে কোনো শাস্তি দেওয়া হয়নি। তাদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য নিরপরাধদের হয়রানি করা হচ্ছে,” তিনি অভিযোগ করেন।
ঘুষের বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে এবং তিনি লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। ফারুক প্রশ্ন তোলেন, “আইনের শাসন কিভাবে প্রতিষ্ঠিত হবে যদি অভিযোগ ছাড়া অভিযুক্ত থানার ওসি এবং এসআই-এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়?”
এদিকে, যারা ঘুষ দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন, তারা ভয় পাচ্ছেন ভবিষ্যতে পুলিশের হাতে আবার হয়রানির শিকার হতে। ফারুক পুলিশ কমিশনারকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “ঘুষ নেওয়া সকল টাকা ফেরত দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
এ ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে অধিকতর তদন্তের দাবি উঠেছে।