শিরোনাম

সাবেক কেরানির ২৪টি আলিশান বাড়ি ও ৩০ হাজার কোটির সম্পদ

সাবেক কেরানির ২৪টি আলিশান বাড়ি ও ৩০ হাজার কোটির সম্পদ

কেরানির চাকরি করতেন। কিন্তু তাঁর চারটি আলিশান বাড়ি ও সব মিলিয়ে ৩০ হাজার কোটি রুপির সম্পদের সন্ধান মিলেছে। ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন লিমিটেডের ওই সাবেক কেরানির বাড়িতে অভিযান অবৈধ সম্পদ জব্দ করেছে লোকায়ুক্ত (দুর্নীতি দমন) কর্মকর্তারা। আজ শুক্রবার এই অভিযান চালানো হয়।

লোকায়ুক্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, কালাকাপ্পা নিদাগুন্ডি নামের ওই কেরানি কোপ্পাল এলাকায় কাজ করতেন। তাঁর মাসিক বেতন ছিল মাত্র ১৫ হাজার রুপি। অথচ তাঁর নামে, তাঁর স্ত্রীর নামে এবং স্ত্রীর ভাইয়ের নামে ২৪টি বাড়ি,৪টি প্লট এবং ৪০ একর কৃষিজমি পাওয়া গেছে।

অভিযানে ৪টি গাড়ি, ৩৫০ গ্রাম সোনা এবং দেড় কেজি রুপাও উদ্ধার করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, নিদাগুন্ডি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন লিমিটেডের সাবেক প্রকৌশলী জেড এম চিনচোলকার ৯৬টি অসম্পূর্ণ প্রকল্পের নথি জালিয়াতি করে ৭২ কোটি রুপির বেশি আত্মসাৎ করেছেন।

লোকায়ুক্ত কর্মকর্তারা সরকারি কর্মকর্তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছেন।

গত মঙ্গলবারও হাসান, চিক্কাবাল্লাপুরা, চিত্রদুর্গ এবং বেঙ্গালুরুতে পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে যুক্ত স্থাপনাগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়। এই কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন এনএইচএআই বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ান্না আর, গ্রামীণ পানীয় জল ও স্যানিটেশন বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার আঞ্জানেয়া মূর্তি এম, হিরিউরের তালুক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. ভেঙ্কটেশ, বেঙ্গালুরুর বিবিএমপি দাসারাহাল্লি উপ-বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা এন ভেঙ্কটেশ এবং বেঙ্গালুরুর বিডিএ প্রধান কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী উদ্যানতত্ত্ব পরিচালক কে ওম প্রকাশ।

এর আগে গত ২৩ জুলাই লোকায়ুক্ত কর্মকর্তারা আটজন কর্মকর্তার, যার মধ্যে একজন আইএএস কর্মকর্তাও ছিলেন, ৪১টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৭ দশমিক ৪২ কোটি রুপির অবৈধ সম্পদ উদ্ধার করেন। এই অভিযানগুলো বেঙ্গালুরু আরবান, মহীশূর, তুমাকুরু, কালাবুরাগি, কোপ্পাল এবং কোডাগু জেলায় চালানো হয়েছিল।

ওই অভিযানে কর্ণাটকের রেলওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি-এর বিশেষ ডেপুটি কমিশনার আইএএস কর্মকর্তা বাসন্তী আমার বি ভি-এর সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ৯ দশমিক ০৩ কোটি রুপির সম্পদ উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ছিল ৩টি জমি,৪টি বাড়ি, ৩ একর কৃষিজমি (৭.৪ কোটি রুপি মূল্যের), ১২ লাখ রুপির গয়না এবং ৯০ লাখ রুপির যানবাহন। বাসন্তী বেঙ্গালুরু শহরতলির রেলওয়ে প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের দায়িত্বেও ছিলেন।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button