নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে: মঈন খান


দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে মন্তব্য করে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হবে।’
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। ‘গণতান্ত্রিক উত্তরণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ ও সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।
মঈন খান বলেন, ‘৫ আগস্ট যদি সত্যিই নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়, তবে সেটা যে মাসেই নির্বাচনের সময় দিক-না কেন, তা নিয়ে এত ভাবনার কারণ নাই।’
এসময় পিআর পদ্ধতির সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, পিআর পদ্ধতির গভীরে গেলে দেখা যাবে জনগণ একটি দলকে ভোট দিচ্ছে একজন ব্যক্তিকে নয়। এই পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে দেশের সামাজিক অবস্থার সঙ্গে তা সংগতিপূর্ণ হবে না। তিনি বলেন, ‘অন্য দেশের সঙ্গে আমাদের দেশের সামাজিক অবস্থা এক নয়, তাই পিআর পদ্ধতি এখানে কার্যকর করা যাবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে। যারা এই দাবি তুলেছেন তাদের উচিত এ নিয়ে জনগণের ওপর জরিপ পরিচালনা করা। তখনই বুঝা যাবে, মানুষ প্রচলিত নিয়মে ভোট চায় নাকি পিআর চায়।
সংস্কার প্রসঙ্গে মঈন খান বলেন, শুধু নির্বাচিত সরকারেরই সংস্কার করার অধিকার রয়েছে।
সেমিনারে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তাদের ‘এক্সিট’নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে। তাদের পদক্ষেপ পরবর্তী সরকার কতটা বৈধতা দেবে, তা নিয়েও চিন্তা করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। যতটুকু না করলেই নয় ততোটুক সংস্কার করা উচিত।
সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল বলেন, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ করে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। নির্বাচন অক্টোবরে হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি ভালো হলেও এখন তা সময়োপযোগী নয়।
সেমিনারে ডেমোক্রেসি ডায়াস বাংলাদেশের সংগঠনের চেয়ারম্যান ড. আবদুল্লাহ আল মামুন ২৬টি দেশে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যকাল, সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে করা গবেষণার বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। গবেষণায় দেখা যায়, ২৬টি দেশের মধ্যে ১৬টি দেশই খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করেছে। এতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং দ্রুত সংস্কার কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে।