পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারের উল্টাপাল্টা বোলিং


যেখানে শুরুর কথা বলার আগেই শেষ—গতকাল অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান ম্যাচ দেখে এমন কিছু মনে পড়াই স্বাভাবিক। কারণ, লেস্টারের গ্রেস রোডে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার যা সর্বনাশ হওয়ার, সেটা শুরুতেই হয়ে গিয়েছে। এমন অবস্থায় অজি পেসার জন হ্যাস্টিংসের যেন মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং পাওয়া অস্ট্রেলিয়া গতকাল ১১.৫ ওভারে ৭৪ রানে গুটিয়ে গিয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে যেখানে এখন ২০০-এর বেশি রান তাড়া করে জয়ের ঘটনা ঘটছে অহরহ, সেখানে ৭৫ রানের লক্ষ্য নিতান্ত মামুলি। লেস্টারের গ্রেস রোডে পাকিস্তান ম্যাচটি জিতেছে ৭৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ৪৭ বলে পাকিস্তান যে খেলা শেষ করেছে, তাতে হ্যাস্টিংসের অবদানই বেশি। ইনিংসের অষ্টম ওভারে কাগজে-কলমে করেছেন ৫ বল। কিন্তু তাঁর এই ওভার শেষ করতে দেরি হয়েছে মূলত ১২ ওয়াইড ও একটি নো বলের কারণে।
হ্যাস্টিংসের ওভার খেলতে গিয়ে পাকিস্তানের ওপেনার শোয়েব মাকসুদ যেন বেশি বিরক্তই হয়েছেন। কারণ, প্রত্যেকবার বড় শট খেলার প্রস্তুতি নিলেও ব্যাটে-বলে ঠিকঠাক সংযোগ করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়ার পেসার হ্যাস্টিংসের ডেলিভারিগুলো এমন উল্টাপাল্টা হলে কীভাবে বলে ঠিকভাবে শট করবেন মাকসুদ! লম্বা এই ওভারের মাঝে শারজিল খান একটি চার মেরেছেন।
অদ্ভুতুড়ে ওভারে হ্যাস্টিংস ১৮ বল করলেও ওভারটি শেষ করা সম্ভব হয়নি। এই ওভারে শারজিল-মাকসুদ পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশি চাপটা যে গেছে আম্পায়ারের ওপর দিয়ে। ১২ বার দুই হাত প্রসারিত করে দিয়েছেন ওয়াইডের সংকেত। নো বল, লেগ বাই ও চারের জন্যও তাঁর হাত অনেকবার নাড়াচড়া করতে হয়েছে। এমন ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ব্রেট লি যে বিব্রত হয়েছেন, সেটা ম্যাচে তাঁর মুখ লুকানো দেখেই বোঝা গেছে।
য়েছিলেন। কাল সবাইকে এমন অভিজ্ঞতাই উপহার দিয়েছেন হ্যাস্টিংস।
পাকিস্তানের এমন হেসেখেলে জয়ের ম্যাচে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন সাঈদ আজমল। ৩.৫ ওভার বোলিং করে ১৬ রানে পেয়েছেন ৬ উইকেট। ইমাদ ওয়াসিম নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন সোহেল তানভীর ও সোহেল খান। প্রথমে ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়া যখন ৭৪ রানে অলআউট হয়েছে, তখনই যেন লি-হ্যাস্টিংসরা জেতার আশা ছেড়ে দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৯ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হ্যাস্টিংস যে কী পরিমাণ গুবলেট পাকিয়েছেন, সেটা তো স্পষ্টই। ৫ বল করেই খরচ করেন ১৯ রান।