তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাত, দুজন গ্রেপ্তার


জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে আব্দুর রাজ্জাক (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করেছেন দুই যুবক। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হলে অভিযুক্ত দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের পূর্ব শিয়ালাপাড়া গ্রামে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পূর্ব শিয়ালা গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে জনি হোসেন (২৫) এবং একই গ্রামের আব্দুল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (২০)।
মামলার এজাহার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত রোববার বিকেলে আহত আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রীসহ কয়েকজন প্রতিবেশী তাঁদের বাড়ির সামনের রাস্তায় পাশে বসে গল্প করছিলেন। ওই সময় দ্রুতগতিতে একটি ভ্যানে মালপত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন মামলার আসামি জনি ও জিহাদ হোসেন। তখন আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী ফাহিমা বেগম ওই দুই তরুণকে বলেন, ‘মানুষের মাঝে এত জোরে কেন ভ্যান নিয়ে যেতে হবে।’ এ কথা বলতেই ফাহিমাকে মারধর করেন তাঁরা।
পরে বাজার থেকে ফাহিমার স্বামী আব্দুর রাজ্জাক বাড়িতে এলে তাঁকেও মারধর করার পর দুই তরুণ পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা আব্দুর রাজ্জাককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় আহত রাজ্জাকের স্ত্রীর বড় ভাই হাসান আলী গত রোববার দিবাগত রাতে থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই মামলার ১ নম্বর আসামি জনি ও ২ নম্বর আসামি জিহাদকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে সোমবার বেলা ১১টায় তাঁদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাকের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে ওই দুই আসামির কোনো শত্রুতা নেই। তাঁরা এলাকায় মাদকের কারবার করে। তাঁদের কাছে সব সময় দেশীয় অস্ত্র থাকে। এ কারণে মানুষ মেরে ফেলতেও তাঁরা দ্বিধা করে না। আমার ভাইকে সামান্য বিষয়ের জেরে পেটে চাকু দিয়ে আঘাত করে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।’
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার পরিদর্শক (ওসি, তদন্ত) মমিনুল ইসলাম বলেন, আব্দুর রাজ্জাককে চাকু মারার ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।