ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে ফায়ার অ্যালার্ম, তদন্তের নির্দেশ


রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মূল ভবনের শাপলা হলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে চলছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের ২০তম দিনের সংলাপ। এই সংলাপ চলাকালে দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ বেজে ওঠে ফায়ার অ্যালার্ম। তখন সংলাপে অংশ নেওয়া সবাই উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়েন। অ্যালার্ম বাজার কিছুক্ষণ পর সাময়িক সময়ের জন্য সংলাপ স্থগিত করেন কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
এরপর ফায়ার অ্যালার্মের ঘটনা তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছে কমিশন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে অনুরোধ করেন। আজ সোমবার দুপুরে বিরতির পরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি। ফরেন সার্ভিস একাডেমিকে আমরা লিখিত ও মৌখিকভাবে অনুরোধ করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্তে দ্রুত কমিটি গঠন করা হবে। তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
আলী রীয়াজ বলেন, ‘যেহেতু ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে, সবাই দেখছেন, সবার জানা দরকার আসলে কী ঘটেছে। আমি কমিশনের পক্ষ থেকে সবাইকে অনুরোধ করলাম।’
প্রসঙ্গত, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সংলাপ শুরু হয়েছিল। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে হঠাৎ ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এ ঘটনার পর দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বলেন, ‘এখানে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে উঠেছে। তাই আমাদের কিছু সময়ের জন্য বের হতে হবে।’ এরপর সবাই সম্মেলন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার অ্যালার্ম বন্ধ হয়, পরে বেলা পৌনে ১টার দিকে আবার সংলাপ শুরু হয়।
এ বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন মনে করে, এটা এখানকার কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। সে ক্ষেত্রে তাদের কাজের ব্যত্যয় ঘটে থাকলে, কী কারণে ব্যত্যয় ঘটেছে, তা খুঁজে বের করতে হবে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধের জন্য কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া দরকার এবং আমাদের সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, তা নিশ্চিত করার অনুরোধ করেছি।’
ফরেন সার্ভিস একাডেমির সংশ্লিষ্ট একজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, মূল ভবনের তিনতলায় কেউ ধূমপান করেছেন। সেটার ধোঁয়ার কারণেই ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে।’