যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন চুক্তির’ প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ


যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘গোপন চুক্তির’ প্রতিবাদে ছাত্র ইউনিয়নের বিক্ষোভ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৫, ২০: ৪৮
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, মধুর ক্যান্টিন ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাংলাদেশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উপনিবেশে পরিণত করতে অন্তর্বর্তী সরকার নতজানু ভূমিকা পালন করছে— এমন অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
আজ শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে মিছিল শুরু হয়ে ভিসি চত্বর, মধুর ক্যান্টিন ঘুরে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সংগঠনের সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকারের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা দুই দফা দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো— যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পাদিত সকল সামরিক ও বেসামরিক চুক্তি প্রকাশ করতে হবে এবং ‘স্টেট সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এ দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে এনবিআর সচিব মুকিতুল হাসানকে স্বপদে পুনর্বহাল করতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রথীন্দ্র নাথ বাপ্পি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একের পর এক দেশবিরোধী চুক্তি করছে। নন-ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট, বন্দর ইজারা, রাখাইন করিডর সব কিছুই যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে। এতে স্পষ্ট যে সরকার দেশকে মার্কিন এজেন্ডা বাস্তবায়নের মাঠ বানাতে চায়।
ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক আসিফ জামান বলেন, বিগত সময়ে ভারতের সঙ্গে যেমন অসম চুক্তি হয়েছিল, এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও ওয়াশিংটনের সঙ্গে একই রকম গোপন সমঝোতা করছে। জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার ফল ভালো হয় না।
ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, ঔপনিবেশিক ‘স্টেট সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এর মাধ্যমে মুকিতুল হাসানকে বরখাস্ত করা বেআইনি। তিনি কোনো অপরাধ করেননি, বরং দেশপ্রেম দেখিয়েছেন। এই সরকার যদি চুক্তি বাতিল না করে, তাহলে আমরা হরতাল-অবরোধসহ বৃহত্তর কর্মসূচিতে যাব।
সমাবেশের সমাপ্তি বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি তামজিদ হায়দার চঞ্চল বলেন, এই দেশে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে বহু সংগ্রামের ইতিহাস আছে। মতিউল ও কাদেরের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। আমরা আগামীতেও রাজপথে থাকব।