স্ত্রীসহ হানিফের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণী জমার নির্দেশ


স্ত্রীসহ হানিফের বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণী জমার নির্দেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৯: ২৫
মাহবুব উল আলম হানিফ। ফাইল ছবি
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও তাঁর স্ত্রী ফৌজিয়া আলমের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ ছাড়া হানিফের ছেলে ফাহিম আফসার আলম, ফারহান সাদিক আলম ও মেয়ে তানিশা আলমের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ জারি করেছে দুদক।
আজ সোমবার (১৪ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছন সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, মাহবুব উল আলম হানিফের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৩৯ লাখ ২৯ হাজার ৩১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ছাড়া তাঁর নামে থাকা ১৮টি ব্যাংক হিসাবে ৮৬৬ কোটি ৬৯ লাখ ৪৯ হাজার ৭২ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুদক।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান, আসামির বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অপর একটি মামলায় স্ত্রীর সঙ্গে হানিফকেও আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬৮ হাজার ৪৯০ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ফৌজিয়া আলমের নামে থাকা ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৩৩ কোটি ১৩ লাখ ৫০ হাজার ৬০৯ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের অক্টোবরে এক আইনজীবী হানিফের বিরুদ্ধে দুদকে অর্থ পাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করেন। এরপর বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হানিফ, তাঁর স্ত্রী ও পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দে নির্দেশ দেয়। ওই নির্দেশে ৩৪টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা হিসাব ঘেটে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে দুদক এ দুটি মামলা করে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকার। এর পর থেকেই দলটির কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত অনেক নেতা আত্মগোপনে চলে যান। মাহবুব উল আলম হানিফও আত্মগোপনে রয়েছেন। দুদক সূত্র বলছে, কানাডার নাগরিকত্ব থাকা হানিফ সে দেশেই আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারেন।