শিরোনাম
ভূতের ভয় কাটানো সম্ভব, তবে যে দুই ভয় জন্মগতগুলিস্তানে ট্রাকের ধাক্কায় ঝালমুড়ি বিক্রেতা কিশোর নিহতগোপালগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় আরও একটি হত্যা মামলামাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টাখুলনায় ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ১সৈয়দপুরে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, খুনি গ্রেপ্তারগ্রিন ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক সামিট অনুষ্ঠিতমাখোঁ কেন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র চায়, রহস্য কীহালুয়াঘাটে ৬ ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৯০ হাজার টাকা জরিমানাবিএনপিপন্থীদের বর্জন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জামায়াতপন্থী ২৭ জন নির্বাচিত

মার খেয়ে ফিরবেন না, পাল্টা মারুন: মিঠুন চক্রবর্তী

মার খেয়ে ফিরবেন না, পাল্টা মারুন: মিঠুন চক্রবর্তী

বলিউডের ‘ডিসকো ড্যান্সার’ এবার বাংলার ভোট রাজনীতিতে ‘পাঞ্চলাইন’ মারলেন। আজ শুক্রবার আরামবাগে একটি রাজনৈতিক সভায় বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্যে আবার ছড়াল উত্তাপ। বললেন, ‘মার খেয়ে বাড়ি ফিরবেন না। পাল্টা মার দিন। পারলে মারবেন।’ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

মঞ্চে দাঁড়িয়ে একের পর এক তোপ দেগে মিঠুন বলেন, এই সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত, রাজ্যে নারীদের কোনো সুরক্ষা নেই। ভোটার তালিকায় ভুয়া নাম ঢুকিয়ে গণতন্ত্রকে লুট করছে তৃণমূল।

বিহারে নির্বাচন কমিশনের তালিকা সংশোধনের জেরে বাদ পড়েছে ৫৬ লাখ ভুয়া ভোটারের নাম। সেই প্রসঙ্গ টেনে মিঠুন বলেন, বাংলাতেও খতিয়ে দেখা দরকার, কে কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে। রাজ্য সরকারকে তা মানতেই হবে।

এই বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপি কার্যত রাজ্যে এনআরসি এবং ভোটার যাচাই ঘিরে নতুন বার্তা দিতে চাইল বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।

তবে পাল্টা ঘুঁটি সাজিয়ে তৃণমূল সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মিঠুন চক্রবর্তীকে আমি অভিনেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু রাজনীতিতে তিনি একজন জোকার। বাংলার মাটির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের টিকিটে একবার রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন, পরে ইডি-সিবিআইয়ের ভয়ে পদ ছেড়ে পালিয়েছেন।’

ভোটের মুখে আবারও রাজনৈতিক হিংসা, নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব ও ভুয়া ভোটার ইস্যুকে সামনে এনে বিজেপি তাদের পুরোনো আক্রমণাত্মক ছন্দে। আর সেই সুরেই হুংকার দিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তারকা প্রভাব কাজে লাগিয়ে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে বিজেপি। মিঠুনের মুখে এবার যে সরাসরি সংঘর্ষের ভাষা উঠে এল, তা রাজ্যের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী আবহে কাঁপন ধরাতে যথেষ্ট।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button