সড়কে খোয়া ফেলে লাপাত্তা ঠিকাদার


কাজের সময়সীমা ১৮ মাস। কিন্তু সে কাজ দুই মাস করার পর ফেলে রাখা হয়েছে। এদিকে কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নেই ঠিকাদারের। জানা গেছে, গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই গা ঢাকা দেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এতে সড়ক সংস্কারকাজ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জনসাধারণকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার নাচোল-রাজবাড়ী আঞ্চলিক সড়ক সংস্কারের কাজে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্র ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলজিইডির অধীনে এডিবি ও জিওবির অর্থায়নে নাচোল থেকে রাজবাড়ী বাজার শেষ সীমানা পর্যন্ত ২ হাজার ২২০ মিটার (২ দশমিক ২২ কিলোমিটার) সড়ক সংস্কারের কাজ পায় কুমিল্লার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোস্তফা জামান প্রাইভেট লিমিটেড। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় তিন কোটি টাকা। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে সড়কের কাজ শুরু হয়। আর ২০২৫ সালের জুন মাসের ৫ তারিখ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজের শুরুতে সড়কের পুরো অংশে ইটের খোয়া বিছিয়ে দেয়। এরপর থেকে এখনো কাজ শেষ হয়নি। এ দিকে বিছানো খোয়া ইতিমধ্যে উঠে গিয়ে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে বৃষ্টির পানি জমে যাচ্ছে। ফলে সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ ও ঝুঁকি দেখা দিয়েছে।
নাচোল সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৫ আগস্টের আগে দুই মাস কাজ করে ঠিকাদার উধাও হয়ে যান। তারপর কয়েক মাস আগে কাজ করার জন্য যন্ত্রপাতি নিয়ে এলেও অজানা কারণে শুরু হয়নি। তিনি এখনো লাপাত্তা।’
স্থানীয় বাসিন্দা মো. নাইম সাদিক বলেন, ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এ সড়কটি দিয়ে নাচোল উপজেলার লোকজন ছাড়াও নিয়ামতপুরের লোকজন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোস্তফা জামান প্রাইভেট লিমিটেডের মো. লিটন আলী বিদেশে পলাতক থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। সাব-ঠিকাদার জাকারিয়া এন্টারপ্রাইজের জাকারিয়া হোসেন বলেন, ‘বৃষ্টি থাকায় এবং বেসিক প্ল্যান্ট মেশিন না পাওয়ার কারণে কাজটি সময়মতো করা যায়নি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর দপ্তরে সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলাম। তাঁরা চার মাস সময় বেঁধে দিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে কাজটি আমাদের শেষ করতে হবে।’