বিসিএসআইআরে টেন্ডার জালিয়াতি, দুদকের অভিযানে প্রমাণ মিলল


ক্রাইম জোন ২৪।। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনার আগেই টেন্ডারের নাটক সাজানো হতো। শুধু তাই নয়, ক্রয়কৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দেখিয়ে ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট টিমের অভিযানে এসব অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নিয়োগ, গবেষণায় অনিয়ম, পুরস্কার জালিয়াতিসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে বিসিএসআইআরে অভিযান চালানো হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, বিসিএসআইআরের আর্থিক ও প্রশাসনিক দুর্নীতি, গবেষণায় অনিয়ম, পুরস্কার জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। তদন্তে দেখা গেছে, কেমিক্যাল মেট্রোলোজি অবকাঠামো সমৃদ্ধকরণ প্রকল্পের অধীনে নিজস্ব ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা অনুযায়ী ক্রয় সম্পাদন না করেই অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে।
দুদক জানায়, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিসিএসআইআরের বিভিন্ন মেশিনারিজ ক্রয়ের টেন্ডার শুরু হওয়ার আগেই এসব যন্ত্রপাতি কেনা হয় এবং ইনস্টল করা হয়। পরে ক্রয়কৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্য দেখিয়ে টেন্ডার বাস্তবায়ন করা হয় এবং ঠিকাদারের সঙ্গে যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ২০২০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে প্রকল্পের আওতায় কেমিক্যাল ক্রয়ে ১ কোটি ৮০ হাজার টাকা ব্যয় দেখানো হলেও পরবর্তীতে ৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার টেন্ডার দেখানো হয়। ফলে বাকি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুদকের টিম অভিযানের সময় ১১টি যন্ত্রের অস্তিত্ব খুঁজে পায়, যেগুলো কোনো টেন্ডার ছাড়াই কেনা হয়েছে। এসব যন্ত্র আগামী অর্থবছরে টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়কৃত দেখানো হবে বলে জানা গেছে, যা পুরোপুরি বিধিবহির্ভূত।
দুদক জানিয়েছে, অভিযানে প্রাপ্ত অনিয়মের বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।