শিরোনাম

অর্থনীতি সুস্থ অবস্থায় ফিরবে জানুয়ারিতে

অর্থনীতি সুস্থ অবস্থায় ফিরবে জানুয়ারিতে

এক বছর আগে আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের যখন পতন হয়, তখন দেশের অর্থনীতি নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিল বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতির সেই অবস্থায় কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে বলে মনে করেন তিনি। এখন তিনি আশা করছেন, ‘আগামী জানুয়ারির মধ্যে অর্থনীতি সেই আইসিইউ থেকে ওয়ার্ডে ফেরার মতো সুস্থ অবস্থায় পৌঁছাবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবও দেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘এই মুহূর্তে শুধু এটা বলতে পারি, অস্থিতিশীল অর্থনীতি এখন কিছুটা হলেও স্থিতিশীলতায় ফিরেছে। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ইস্যুতে ২-৩ মাস আগেও বেশ হইচই করত, যা এখন কমে গেছে। তবে এটাও ঠিক, এখনো বেসরকারি খাতে স্থিতিশীলতা আসেনি।’

বেসরকারি খাতের স্থিতিশীলতা ফেরানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে সালেহউদ্দিন বলেন, ‘সেই চ্যালেঞ্জ কতটা কাটিয়ে ওঠা যাবে, তা নির্ভর করছে নতুন সরকারের ওপর। তারা অর্থনীতির এই অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে এবং বেসরকারি খাতের আস্থা ফেরাতে কী ধরনের পলিসি গ্রহণ করে তার ওপর।’

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থনীতির কিছু মৌলিক সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যাবে। এই সময় পর্যন্ত বর্তমান সরকার স্বাভাবিক সংস্কার চালাতে পারবে। মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারগুলো করবে পরবর্তী সরকার।

চলমান সংস্কার অব্যাহত রাখতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে অনুরোধও করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, এসব কাজে যদি তোমরা বাধা দাও, তাহলে তোমাদের সরকারের ওপর একই ঝামেলা গিয়ে পড়বে।’

সরকারের এক বছরে মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে, ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে, ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ও বিনিময় হার সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণে আছে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও বাড়ছে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। তবে তিনি স্বীকার করেন, ব্যাংক খাতে এখনো রেগুলেটরি সংকট রয়ে গেছে। অনেক ব্যাংক এখনো আমানতকারীদের টাকা পরিপূর্ণভাবে ফেরত দিতে সক্ষম হচ্ছে না। এমনকি একটি ব্যাংককে বিপুল অর্থ দিলেও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হয়নি।

সালেহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখনো সব সমস্যার সমাধান করতে পারিনি, তবে সঠিক পথে অগ্রসর হচ্ছি। আমাদের কাজের মাঝে কিছু ভুলত্রুটি থাকতে পারে, যা আমরা স্বীকার করি এবং তা সংশোধনের জন্য প্রস্তুত।’

ব্যাংক পুনর্গঠন প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এর জন্য বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে কত টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, তা বলা যাবে না। শুধু আমরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলছি যে কোনো আমানতকারীর টাকা মার যাবে না। প্রত্যেক আমানতকারী তাঁদের টাকা ফেরত পাবেন।

কয়েকটি ব্যাংক একীভূত করার কথা জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকগুলোকে কোন কোন ব্যাংকের সঙ্গে একীভূত করা হবে সে বিষয়ে কাজ চলছে, তবে সব ব্যাংক এই প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button