শিরোনাম
ভবিষ্যৎ সরকারকে ‘জুলাই সনদ’ মেনেই চলতে হবে: জামায়াতরাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আটক সেনা কর্মকর্তা, তদন্তে আদালত গঠন: আইএসপিআর‘তাকে কয়েক মিনিটের জনপ্রিয়তা উপভোগ করতে দাও’, অভিযোগের জবাবে বললেন বিজয়অনাহারে ৯০ শিশুর মৃত্যুর পর গাজা সফরে যাচ্ছেন মার্কিন দূতপাল্টা শুল্ক প্রতিযোগীদের সমান এটাই স্বস্তির: বিজিএমইএ সভাপতিভারত ম্যাচে পাকিস্তানের জার্সি পরা দর্শক ঢুকতে না দেওয়ায় দুঃখ প্রকাশ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে গুলশানে চাঁদাবাজি, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের নেতা জানে আলম গ্রেপ্তারএকদিনে এনবিআরের ৪৯ কর্মকর্তাকে বদলিশাপলা বিলে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল দুজনেরবিবিসির প্রতিবেদন /বিশ্বজুড়ে শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের সেই ‘জয়’, যার উচ্চমূল্য দিতে হবে সবাইকে

রাউজানে খোন্দকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ বিএনপির একাংশের

রাউজানে খোন্দকারকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালানোর অভিযোগ বিএনপির একাংশের

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকারকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন রাউজান উপজেলা বিএনপির নেতারা। তাঁদের দাবি, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা, যার উদ্দেশ্য ছিল তাঁকে হত্যা করা।

বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের নাসিমন ভবনে উত্তর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির একাংশের নেতারা এসব কথা বলেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের অন্য কোনো কর্মসূচি ছিল না। প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারতে যাচ্ছিলাম। পথে গিয়াস উদ্দিন কাদের সমর্থিত ৭০-৮০ সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়।’ তিনি বলেন, হামলার একপর্যায়ে গোলাম আকবর খোন্দকারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। ভাগ্যক্রমে গুলিটি সরাসরি না লাগায় তিনি বেঁচে যান। এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্য।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের আর কোনো কর্মসূচি ছিল না। আমরা যাচ্ছিলাম প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের কবর জিয়ারতে। কিন্তু এতে বাধা দিয়েছেন গিয়াস উদ্দিন কাদের সমর্থিত কিছু সন্ত্রাসী।’

ঝামেলার আশঙ্কার কথা আগেই প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কিছু ঝামেলা হওয়ার কথা জানতে পেরে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ ধরনের কোনো শঙ্কা থাকলে সেটা তারা মোকাবিলা করবে। আমরা যেতে পারব। প্রশাসন আশ্বস্ত করেছিল বলেই আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।’

জসিম বলেন, ‘গোলাম আকবর খোন্দকার রাউজানে চলাচল করলেই তারা শঙ্কিত হয়ে যায়। গোলাম আকবর খোন্দকারের জনপ্রিয়তা দেখে তারা শঙ্কিত। তাকে প্রতিহত করার জন্য তারা এ ধরনের কাজ করছে। কালকে (মঙ্গলবার) তো শেষমেশ গুলিই করল। ভাগ্যক্রমে একটুর জন্য লাগেনি। না হয়, উনি ঘটনাস্থলেই মারা যেতেন। এটা সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত ছিল।’

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনো মামলা করিনি। মামলা করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মামলার চেষ্টা করছি। প্রশাসনও কোনো গ্রেপ্তারের কাজ শুরু করেনি।’ তবে কেন্দ্র থেকে মামলা না করার বিষয়ে কোনো চাপ নেই বলে জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গিয়াস কাদের সমর্থিত সন্ত্রাসীরা এর আগে রাউজানে অন্তত ১৫ জনকে হত্যা করেছে। চাঁদাবাজি, জমি দখল, বালু মহাল ও মাটি কাটার মতো অপরাধে তারা এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।

এর আগে, মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাউজান পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড সত্তারঘাট এলাকায় বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ হয়। এতে গোলাম আকবর খোন্দকারসহ অনেক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের পর সন্ধ্যায় কেন্দ্র থেকে গোলাম আকবর খোন্দকারের নেতৃত্বাধীন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্তির ঘোষণা দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পদে স্থগিতাদেশ দেয় বিএনপি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button