শিরোনাম

ডিসি আসবেন বলে বিদ্যালয়ের মাঠে রাতারাতি হয়ে গেল রাস্তা

ডিসি আসবেন বলে বিদ্যালয়ের মাঠে রাতারাতি হয়ে গেল রাস্তা

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানমের আগমনে বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠের বুকচিরে রাতারাতি নির্মাণ করা হয়েছে রাস্তা। সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার প্রধান সড়ক সংলগ্ন এই বিদ্যালয়ের মাঠে সড়কটি নির্মাণ করা হয়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জয়ন্তী কর্ণার, স্যানিটারি নেপকিন ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় যোগ দেন। প্রধান সড়কের সাথে স্কুলের প্রধান ফটক লাগোয়া হলেও ডিসিকে বহনকারী গাড়ী যাতে কাঁদা না মাড়াতে হয় তাই তাই গভীর রাতে বৃষ্টির মধ্যেই এই সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়। সকালে বিদ্যালয়ে এসে সড়কটি দেখে অনেক শিক্ষার্থীও অবাক হয়ে যায়। তবে ক্ষোভ জানান স্থানীয়রা।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোতোষ দাশ সাংবাদিকেদর উদ্দেশে বলেন, ’মাঠে কাঁদা থাকায় ডিসি মহোদয়ের গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না, তাই অস্থায়ীভাবে সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কটি আমরা করিনি, তারা (প্রশাসন) করেছে। আপনারা আমার স্কুলকে কালারিং করবেন না।’

বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জয়ন্তী কর্ণার, স্যানিটারি নেপকিন ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাঁশখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জয়ন্তী কর্ণার, স্যানিটারি নেপকিন ভেন্ডিং মেশিন উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা খানম। ছবি: আজকের পত্রিকা

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সড়ক নির্মাণকাজে নিয়োজিত এক ব্যক্তি বলেন, ’সোমবার দিবাগত রাত তিনটা পর্যন্ত বৃষ্টির মধ্যে ৩৩ জন শ্রমিক এই সড়কটির নির্মাণ কাজ করে। সড়ক নির্মাণে প্রায় ১৩ হাজার ইট ও ২০ গাড়ি বালি ব্যবহার করা হয়েছে। শ্রমিকের মজুরীসহ যার আনুমানিক ব্যয় তিন লক্ষাধিক টাকা।’

এব্যাপারে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদুল আলম জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে বলেই সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কটি মাঠের মাঝখানে করা হয়নি। এই সড়ক নির্মাণে কোন ব্যয় হয়নি। প্রজেক্টের মাধ্যমেই কাজটি করা হয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button