হার্টের ভাল্ভ নষ্ট, টাকার অভাবে বন্ধ শিক্ষার্থী মেহেদীর চিকিৎসা


লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থী মুজাহিদ হাসান মেহেদীর চিকিৎসা টাকা অভাবে থেমে আছে। তার হার্টের বাঁ পাশের ভাল্ভ নষ্ট হয়ে গেছে। টাকার অভাবে ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তার দরিদ্র বাবা মো. হাছান। ছেলেকে বাঁচাতে দেশের বিত্তবানদের কাছে সহায়তার আকুতি জানিয়েছেন।
মুজাহিদ হাসান মেহেদী উপজেলার হাজীরহাট বাজারের আলোর ভুবন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অধ্যাপক মানজিল আহমেদের তত্ত্বাবধানে তার কিছুদিন চিকিৎসা চলে। টাকা না থাকায় এখন তার চিকিৎসাসেবা বন্ধ রয়েছে। হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর মেহেদী আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে।
মেহেদীর মা মুর্শিদা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে হাজীরহাট বাজারের আলোর ভুবন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। ভালোই চলছিল ছেলের লেখাপড়া। তিন মাস আগে মেহেদীর অসুস্থতা দেখা দেয়। অভাবের সংসারে ছেলে নিয়ে প্রথমে লক্ষ্মীপুরে চিকিৎসকের কাছে যাই। ছেলের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে চিকিৎসকেরা তাঁকে নোয়াখালীতে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যেতে বলেন। উপায় না পেয়ে ছেলেকে নোয়াখালী হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখালে সেখান থেকে তাকে দ্রুত ঢাকা জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে পাঠায়।’
মুর্শিদা বেগম বলেন, ‘ওই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা যায়, ছেলের হার্টের বাঁ পাশের ভাল্ভ নষ্ট হয়ে গেছে। ঢাকা জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক মানজিল আহমেদের তত্ত্বাবধানে কিছুদিন ছেলের চিকিৎসা চলে। বর্তমানে টাকার অভাবে চিকিৎসা বন্ধ আছে। মেহেদীকে বাড়িতে নিয়ে আসার পর প্রতিনিয়ত সে শুকিয়ে যাচ্ছে এবং হাঁটাচলাও করতে পারছে না। এখন ওপেন হার্ট সার্জারি করে ভাল্ভ পরিবর্তন করতে হবে। ৩ থেকে ৩ লাখ টাকা হলেই তার একমাত্র ছেলে মেহেদীর চিকিৎসা সম্ভব। তাই ছেলেকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।’
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা—মুর্শিদা বেগম, অ্যাকাউন্ট নম্বর F-43, ইসলামী ব্যাংক, হাজিরহাট শাখা, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর। বিকাশ (ব্যক্তিগত) নম্বর–০১৭৯৭৪২৩৭২০।