শিরোনাম

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

বিচারক হিসেবে দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ রিমান্ডে নেওয়ার এই নির্দেশ দেন।

এর আগে খায়রুল হককে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন একই আদালত।

সকালে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় খায়রুল হককে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানো নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তা পৃথক একটি আবেদনে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিন মঞ্জুর করেন।

গত বছর ১৮ সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। বিচারক হিসেবে ‘দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলক’ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় প্রদান ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে দণ্ডবিধির ২১৯ ও ৪৬৬ ধারায় এ মামলা করা হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিচারপতি খায়রুল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথায় প্রভাবিত হয়ে এবং তার অবসর পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভের বশবর্তী হয়ে দুর্নীতিমূলকভাবে শেখ হাসিনাকে খুশি করার অভিপ্রায়ে ২০১১ সালের ১০ মে সংক্ষিপ্ত আদেশটি পরিবর্তন করে বেআইনিভাবে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।

গত ২৪ জুলাই সকাল ৮টার পর খায়রুল হককে ধানমন্ডির বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে তাকে ডিবির হেফাজতে রাখা হয়। ঐদিন সন্ধ্যার পরে তাকে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা সুপ্রিম কোর্টের রায় জালিয়াতির অভিযোগে আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ বি এম খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাঁকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button