চীনকে দেখে ভয় পাচ্ছেন না বাংলাদেশ কোচ


নারী এশিয়ান কাপে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেয়ে কঠিন গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। নবাগত দলটিকে সামলাতে হবে চীন, উত্তর কোরিয়া ও উজবেকিস্তানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে। তবে ভয় পাচ্ছেন না বাংলাদেশ কোচ পিটার বাটলার। বরং দেখছেন শেখার মঞ্চ হিসেবে।
আগের ২০ সংস্করণের মধ্যে রেকর্ড ৯ টিতে এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতেছে চীন। বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তারা। গতবার দক্ষিণ কোরিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা উল্লাস করে দলটি। এবারও নামবে ফেবারিট হিসেবেই। চীন নিয়ে আজকের পত্রিকাকে বাটলার বলেন, ‘যা হওয়ার হবে। তাদের আমি পাচ্ছি না। তারা ভালো দল, ভালোভাবে অর্থায়ন পায়, অসাধারণ সুযোগ-সুবিধা রয়েছে তাদের। তবে তাদের অভিজ্ঞতাই শুধু আমাদের জন্য ইতিবাচক হতে পারে, অন্য কিছুতে নয়।’ শেষ আটে খেলার প্রত্যাশা নিয়ে বাটলার, ‘আশাবাদী না হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই টুর্নামেন্ট চার বছরে একবার।’
চীন ছাড়াও গ্রুপে রয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া ও ছয়বার টুর্নামেন্টে খেলা উজবেকিস্তান। বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় বাটলার বলেন, ‘গ্রুপটা খুবই শক্তিশালী, তবে আমি মুখিয়ে আছি। আমার মনে হয়, এটা মেনে নেওয়া ও উপভোগ করা উচিত। আমার ও দলের দৃষ্টিকোণ থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ১২ মাস আগে আমরা চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে খেলেছিলাম এবং তখন বেশ ভালো পারফরম্যান্স দিয়েছিলাম। তারপর থেকে ধীরে ধীরে দলে পরিবর্তন এনেছি, উন্নতি করেছি এবং ধারাবাহিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছি।’
১ মার্চ শুরু হবে এশিয়ান কাপ, ফাইনাল ২১ মার্চ। ১২ দলের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচগুলো হবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি, পার্থ ও গোল্ড কোস্ট শহরে। গ্রুপের সেরা দুই দল চলে যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকলেও সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে তিনে থাকা সেরা দুটি দল উঠবে শেষ আটে।
এশিয়ান কাপ নিয়ে আলাদাভাবে নিজের পরিকল্পনা বাফুফের কাছে জানিয়েছেন বাটলার, ‘আমার পরিকল্পনা আছে, তবে সবকিছু নির্ভর করছে বাফুফের অর্থায়নের ওপর। কথা বলাটা হয়তো সহজ। আমি বলতে পারি, আমি সৌদি আরবে খেলতে চাই অথবা অন্য কোথাও যেতে চাই। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। আমি কেবল অনুরোধ করতে পারি, বাকিটা আসলে বাফুফের ব্যাপার। আমি পরিকল্পনা ও কৌশল দিয়ে থাকি, এরপর সব নির্ভর করে কর্তৃপক্ষের ওপর যাদের অর্থের ব্যবস্থা করতে হবে। আশা করছি, আমরা কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ ও প্রীতি ম্যাচ খেলতে পারব।’
এশিয়ান কাপের জন্য দলে খুব একটা পরিবর্তন আনার পক্ষে নন বাটলার, ‘সত্যি বলতে, আমার স্কোয়াড প্রায় ঠিকঠাক হয়ে গেছে। কিছু ছোটখাট পরিবর্তন হতে পারে। তবে আমাদের অনূর্ধ্ব-২০ দল খুবই ভালো করেছে। জাতীয় দলের নির্বাচনে তারা বড় ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া আমাদের আরও কিছু খেলোয়াড় আছে, যাদের প্রয়োজন হলে ডাকা হবে।’