ধর্ষণ কাণ্ড রফাদফার কথা বলে লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে


নেছারাবাদে ১১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় আপোষ মিমাংসার কথা বলে ১ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে বিএনপির এক নেতার বিরুদ্ধে। মনজুরুল কবির নামের ওই নেতা চামি গ্রামের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। ভুক্তভোগী পরিবার ওই নেতার শালিস না মেনে থানায় মামলা দেয়ার পর টাকা নেয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়। শুক্রবার উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের চামী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত ২৫ জুলাই সকাল ১১টার দিকে বাড়ীর পাশের মনির হোসেন ফরাজির দোকানে যায় ওই শিশুটি। দোকানী মনির তাকে জোর করে দোকানের ভেতর নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনা জানাজানি হলে ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য এবং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. মনজুরুল কবির অভিযুক্ত পরিবারকে আপোষ মীমাংসার কথা বলে এক লাখ টাকা আদায় করে নেয়। ধর্ষিতার পরিবার বিষয়টি জেনে নেছারাবাদ থানায় মনির হোসেন ফরাজিকে আসামি করে শনিবার রাতে থানায় মামলা দেয়। পুলিশ আসামি মনিরকে গ্রেপ্তার করে রোববার সকালে পিরোজপুর আদালতে পাঠায়।
অভিযুক্ত মনিরের মা মোসাম্মৎ মাহাফুজা বেগম বলেন, `আমার ছেলে একটু অপরাধ করে বসেছে৷ এজন্য তাকে ধরে অনেক মারধর করেছে সাবেক মেম্বার মনজুরুল কবির। পরে চৌকিদার সজীব মাজির মাধ্যমে মেম্বার এক লাখ টাকা নিয়েছেন। টাকা দেয়ার পরও আমার ছেলের নামে মামলা হল কেন?’
গ্রাম্য চৌকিদার সজীব মাজি বলেন, `আমি হাত থেকে কোন টাকা নেইনি। ওয়ার্ড বিএনপির নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. মনজরুল কবির মীমাংসার কথা বলে সবার সামনে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। পরে মামলা হওয়ায় সে টাকা ফেরৎ দেয়া হয়েছে। আমি কোন টাকা ধরিনি।’
তবে মনজুরুল কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন টাকা নেইনি। কারা টাকা নিয়েছে তা আমি জানি না। আমি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি, সাবেক ইউপি সদস্য। একটা শালিস বিচারে গেলে নানা লোকে নানা কথা বলতেই পারে। তাতে কি প্রমাণ হয় আমি টাকা নিয়েছি?’
নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন বলেন, `এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। রোববার ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে পিরোজপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।’